আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পর্যটকদের প্রবেশপথ কী হবে, বহির্গমন পথ কী হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে। পর্যটক প্রবেশ করলেও পাঠভবনে শিক্ষার পরিবেশে যাতে কোনও রকম বিঘ্ন না ঘটে, তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। গত বছর শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের। আর এই ঐতিহ্যক্ষেত্রকে অক্ষুণ্ণ রাখতেই এবার শুরু হতে চলেছে ‘হেরিটেজ ওয়ার্ক।’ আশ্রম প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ-সহ অন্য আধিকারিক। ঐতিহ্যক্ষেত্র এলাকায় রয়েছে আশ্রম চত্বর, পাঠভবন, কলাভবন, সঙ্গীত ভবন, উত্তরায়ণ। রবীন্দ্রনাথের বাসভবন উত্তরায়ণের মধ্যে রয়েছে উদয়ন, উদীচী, শ্যামলী, পুনশ্চ, কোণার্ক-এই পাঁচটি বাড়ি। এছাড়াও উপাসনাগৃহ ও ছাতিমতলা সবই ঐতিহ্যেক্ষেত্রের তালিকায়।
advertisement
প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০টি ঐতিহ্যবাহী স্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যা খুব শীঘ্রই দূর দূরান্তের দেশ-বিদেশের পর্যটকের জন্য হেরিটেজ এরিয়া তুলে ধরতে চাইছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস তুলে ধরতে এবং আশ্রম প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখাতে বিভিন্ন কর্মীদের হেরিটেজ ওয়ার্কের গাইড হিসাবেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তারক্ষীদেরও কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, কী করণীয় রয়েছে এ বিষয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : সাপে কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে জল দিয়ে ছোট্ট কাজেই বাঁচবে প্রাণ! এই ‘ভুল’ করলেই শরীরে বিষ ছড়িয়ে হবে মৃত্যু!
কারণ ক্যাম্পাসে পাঠভবন ও বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়াদের হস্টেলেও রয়েছে। তাই পর্যটকেরা যাতে কোনও ভাবেই খোলামেলা পরিবেশে পঠন-পাঠনে কোনও অসুবিধা সৃষ্টি না করে সেদিকেও জোর দিতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর হেরিটেজ কমিটি শান্তিনিকেতনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বঐতিহ্য হিসেবেই ঘোষণা করে।