ঘটনার কেন্দ্রে আছেন প্রবীণ সিং রানা৷ গত বছর দীপাবলির সময় একমাত্র সন্তান সিদ্ধরাজকে হারান তিনি৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তরুণ সিদ্ধরাজ৷ তাঁর কন্যাসন্তানের বয়স তখন মাত্র ৬ মাস৷ সকলে ভেবেছিল ওখানেই থমকে গেল শিশু এবং তাঁর মায়ের জীবন৷
কিন্তু প্রবীণ ভেবেছিলেন স্রোতের উজানে৷ তিনি ঠিক করেন, পুত্রবধূকে ফের ফিরিয়ে আনবেন জীবনের মূলস্রোতে৷ তবে ঠিক করা মাত্রই সব কিছু হয়ে যায়নি সহজে৷ পুত্রবধূর সম্মতি পেতে দীর্ঘ সময় লেগেছে৷ এক বার পুত্রবধূ রাজি হওয়ার পর তিনি পাত্র খুঁজতে শুরু করেন৷ পেয়েও যান সুপাত্র৷ বেশি দূর যেতে হয়নি৷ ছেলে সিদ্ধরাজের এক বন্ধু রাজি হন এই বিয়েতে৷ তাঁর মনে হয়েছে, প্রয়াত বন্ধুর স্ত্রী এবং তাঁর মেয়েকে নতুন জীবন উপহার দেওয়া মহত্বের পরিচয় হবে৷
advertisement
অবশেষে এক হল চার হাত৷ ছাদনাতলায় ফের গাঁটছড়া বাঁধলেন প্রবীণের পুত্রবধূ৷ অগ্নিকে সাক্ষী রেখে নতুন জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ঘুরলেন সাতপাক৷ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সব রীতি নীতি পালন করে কন্যাসম বিধবা পুত্রবধূর ফের বিয়ে দিলেন প্রবীণ৷ বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বিদায় নেওয়ার সময় প্রবীণকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তাঁর প্রয়াত পুত্রের স্ত্রী৷ ঠিক যেন বাবার থেকে বিদায় নিচ্ছে তাঁর আদরের কন্যা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও৷
আরও পড়ুন : জাস্ট ১ মুঠো মুসুরডাল! পাতে রাখলেই শরীর হবে লোহার মতো শক্ত! কাছে ঘেঁষবে না এই জটিল রোগ
নববিবাহিত বরকনেকে তাঁদের নতুন ঠিকানায় পৌঁছে দিতে স্টেশনেও যান প্রবীণ৷ ট্রেনের জানালা দিয়ে তাঁর দিকে হাত নাড়তে থাকে খুদে নাতনি৷ ট্রেনের জানালার ঝাপসা কাচে ফ্রেমবন্দি হয়ে থাকে একরত্তির ছোট্ট হাত৷ এপাশে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সেই নবযাত্রার প্রতি শুভেচ্ছা জানাতে থাকে প্রবীণের বলিরেখাশীর্ণ হাতখানিও৷ আজও যেখানে স্বামীহীনারা সামাজিক অনেক ক্ষেত্রেই ব্রাত্য, সেখানে তিনি হয়ে রইলেন ছক ভাঙার কারিগর৷