ভেগান ডিম কী দিয়ে তৈরি: ভেগান ডিম মুগ এবং সয়া নির্যাস, শিম, মটর, ছোলা এবং অন্যান্য সমস্ত উদ্ভিদ উৎস মিশিয়ে তৈরি করা হয়। সাধারণ ডিমের কুসুমের হলুদ ভাব আনতে অল্প পরিমাণে হলুদও দেওয়া হয় এতে। এই নিরামিষ ডিম এবং তার কুসুম দিয়ে বিভিন্ন রকমের রেসিপিও তৈরি করা যায়। স্ক্র্যাম্বলড ডিম থেকে শুরু করে অমলেট, ভেগান ডিম যে কোনও ভাবে খাওয়া যেতে পারে। এই ভেগান ডিম এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে এর চেহারা, গঠন তো বটেই- স্বাদও মুরগির ডিমের মতোই।
advertisement
ভেগান ডিমের উপকারিতা: ভেগান ডিম তৈরির চিন্তা যাঁর মাথা থেকেই বেরোক না কেন, তিনি যে প্রতিভাধর মানুষ তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে না। সাধারণ ডিমের সঙ্গে এর মিল দেখলে অবাক হতে হয়। স্বাদ এবং গঠন এতটাই একরকমের যে আসল এবং ভেগান ডিমের মধ্যে পার্থক্য করা মুশকিল।
আরও পড়ুন : হলুদ সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কেটে যাবে দুর্ভাগ্য, মিলবে টাকা
বিশেষ করে যাঁরা নিরামিষাশী কিন্তু শরীরে প্রোটিনের মাত্রা পূরণের উপায় খুঁজছেন তাঁদের জন্য এটা আদর্শ। ভেগান ডিমের আরেকটা ভাল ব্যাপার হল, এটা কোলেস্টেরল মুক্ত। ফলে যাঁরা আমিষাশী কিন্তু কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তাঁরাও এটা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। প্রাণিজ প্রোটিনের তুলনায় উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন বেছে নেওয়ায় তা কার্বন ফুটপ্রিন্টকেও কমিয়ে দেয়। ফলে পরিবেশকে পরিষ্কার ও সবুজ রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন : টোম্যাটোর রস দিয়ে বানান আইস কিউব, চোখের নিমেষে পান ব্রণমুক্ত ঝকঝকে ত্বক
ভেগান ডিমের অসুবিধে: এই উদ্ভিদ-ভিত্তিক বিকল্পটি মূল ডিমের প্রোটিন স্তরের সঙ্গে মেলে না। ভেগান ডিম প্রক্রিয়াজাত খাবার। ফলে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। প্রতিটি মুরগির ডিমের পুষ্টির মান একই কিন্তু ভেগান ডিমের পুষ্টির মান ব্র্যান্ড থেকে ব্র্যান্ডে আলাদা। তাছাড়া সব জায়গায় এটা পাওয়াও যায় না।