এছাড়াও জিনগত কারণে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির জন্য এবং দূষণের জন্যও চোখের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূল কথা হল ত্বকের যে বয়স (under eye wrinkles) হচ্ছে তার প্রথম প্রভাব পড়ে চোখের নিচে।
আরও পড়ুন- ডায়াবেটিস ধরা পড়েনি, তবুও রক্তে বেড়েই চলেছে শর্করার মাত্রা? সতর্ক হন এখনই
দেখে নেওয়া যাক চোখের নিচের অংশের যত্ন নিতে কী কী করা দরকার!
advertisement
আর্দ্রতা
আমাদের ত্বক হল আঙুরের মতো। একবার জল শুকিয়ে গেলে আঙুর যেমন শুকনো হয়ে যায় তেমনই ত্বকও শুকিয়ে যায়। তখন বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। চোখের চারপাশের অংশে কনন অয়েল গ্ল্যান্ড বা তৈল গ্রন্থি থাকে না তাই ওই অংশ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই ত্বক আর্দ্র রাখা খুব প্রয়োজন।
সঠিক মেকআপ রিমুভার বেছে নিতে হবে
চোখ হচ্ছে মুখের মধ্যে এমন একটি অংশ যেখানে সবচেয়ে বেশি মেকআপ করা হয়। এর মধ্যে আছে মাস্কারা, কাজল, আইলাইনার, আইশ্যাডো, কন্সিলার ইত্যাদি। এগুলো চোখের আশেপাশে কিছুটা হলেও অবশিষ্ট থেকে যায়। তাই একটি সঠিক মেকআপ রিমুভার প্রয়োজন। নাহলে এই মেকআপের অবশিষ্টাংশ চোখের আশেপাশের অঞ্চল আরও বেশি শুষ্ক (under eye wrinkles) করে দিতে পারে। এমন মেকআপ রিমুভার দিয়ে সেগুলো তুলতে হবে যাতে হিউমেক্ট্যান্ট রয়েছে। হিউমেক্ট্যান্ট চোখের চারপাশে আর্দ্রতা লক করে দেয়।
আরও পড়ুন- শুধু নেশায় মাততে নয়, ভাঙ বা হেম্পসিড তেল ত্বকের যত্নে কীভাবে কাজে লাগে জানেন কি?
অ্যান্টি এজিং সেরাম প্রয়োজন
অ্যান্টি এজিং সেরাম চোখের ফোলা ভাব বা আইব্যাগ, ডার্ক সার্কেল, ফাইন লাইন্স বা বলিরেখা সবকিছুই কম করে। সেরাম ক্রিমের চেয়ে বেশি পাতলা হয় ফলে ত্বক এটি তাড়াতাড়ি শুষে নিতে পারে। ক্রিমের তুলনায় হালকা বলেই সেরাম মেকআপের বেস হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। তবে চোখের খুব কাছাকাছি সেরাম বা ক্রিম ব্যবহার করার সময় একটু সচেতন থাকতে হবে। অনেক সময় এটি চোখে জ্বালা (under eye wrinkles) সৃষ্টি করতে পারে।