তবে ঘাম হওয়ার কারণ যে শুধু প্রচুর ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করা তা নয়। এর কারণ হতে পারে মোটা হয়ে যাওয়া, ডায়বেটিস, শরীরকে সঠিক ভাবে পরিষ্কার না রাখা। এছাড়াও থাইরয়েড যাঁদের আছে বা যাঁদের সিস্ট আছে তাঁদের ক্ষেত্রেও বেশি ঘাম হওয়ার সমস্যাটা দেখা যায়। অনেকের আবার ঘাম থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, কারও আবার সেই সমস্যাটা থাকে না।
advertisement
আরও পড়ুন - কমবে মেদ, পাবেন এনার্জি! এই কালো পানীয় রোজ একবার খেয়েই দেখুন না
প্রচুর ঘামের কারণে অনেক সমস্যা দেখা যায়, যেমন কারও হয় তো কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারভিউতে যাওয়ার কথা, কিন্তু যেতে যেতেই জামাটা ঘামে ভিজে চুপসে গেল। এরকম একটা অবস্থায় ইন্টারভিউতে কেউই ভালো চোখে দেখবে না। তাছাড়া আছে স্বাস্থ্যের দিকটাও। তাই এই সমস্যার থেকে বাঁচাতে বাজারে এসেছে বোটক্স ট্রিটমেন্ট।
বোটক্স ট্রিটমেন্ট অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। কসমিক কন্ডিশন থেকে শুরু করে নানা মেডিক্যাল ক্ষেত্রেও। ঠিক তেমনই ঘাম বেশি হওয়া থেকে মুক্তি পেতেও এই ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করা যায়।
কী ভাবে কাজ করে?
এই ট্রিটমেন্ট শরীরের ঘাম গ্রন্থিগুলোকে সক্রিয় করার যে নার্ভগুলো হয় সেগুলোকে বন্ধ করে। দেহের সেই অংশে বোটক্স ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় যেখানে ঘাম বেশি হয়। তাতে স্নায়ুগুলো অবশ হয়ে যায় ফলে সে ব্রেনে সঙ্কেত দিতে পারে না, তাই অত্যাধিক ঘাম হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন - ঠান্ডা না গরম জল? কোন স্নানে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম জানুন
এর পরে সাধারণত ২৪ ঘণ্টার কাছাকাছি সোজা হয়ে শুতে বারণ করেন ডাক্তাররা। ২ থেকে ৭ দিন সময় নেয় পুরোপুরি ঘাম হওয়া বন্ধ করার জন্য। মোটামুটি ২ সপ্তাহের মধ্যেই এর প্রভাব দেখা যেতে শুরু করে।
কী কী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে?
এই ট্রিটমেন্টে সাধারণত কোন প্রতিক্রিয়া হয় না। যদি হয়েও তাহলেও তা গুরুতর কিছু নয়। যেমন, ইঞ্জেকশনের জায়গায় ব্যথা, মাথা ব্যথা, সেই সঙ্গে অল্প জ্বর এলেও আসতে পারে।