পূর্ব বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। শোনা যায়, এই পরিবারের এক সদস্য নদীর পারে পর্ণকুটিরে এই পুজো শুরু করেছিলেন। পরে বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচাঁদ স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবীর জন্য জমি দান করেন এবং তৈরি করে দেন মন্দির। তাই জয়দুর্গার সন্ধিপুজোয় রাজার নামেই আজও সংকল্প হয়। পুজোর স্থান পরিবর্তন হলেও পুজোর নিয়মের বদল হয়নি। দেবী এখানে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বিরাজমান। জয়দুর্গার প্রতিমা মাটি দিয়েই তৈরি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর হয় অঙ্গরাগ। জয়দুর্গার মন্দিরে আজও তন্ত্রমতেই পুজোর রীতি।
advertisement
সারাবছরই দেবীর নিত্যসেবা হয়। প্রতিদিনই নিয়ম করে দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যা আরতির পর দেওয়া হয় শীতলভোগ। পুজোয় বলি প্রথা আছে। দেবীর পছন্দের মাছের নানান পদ প্রতিদিনই নিয়ম করে ভোগে রাখা হয়। বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির বর্তমান সদস্যরা এখন দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন, বছরভর ব্যস্ত থাকলেও পুজোর চারদিন সকলে একত্রিত হন বৈকুন্ঠপুরে।