তবে এই জড়িয়ে ধরার ব্যাপারটা যতটা সোজাসাপ্টা বলে মনে হয়, আদতে কিন্তু তা নয়। নিবিড় আলিঙ্গনের মধ্যে লুকিয়ে থাকে অনেক না-বলা কথা। এমনকি, অনেক শারীরিক, মানসিক সুস্থতার দিকও! কী রকম, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!
১. উচ্চ রক্তচাপ কমায়
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও নিবিড় আলিঙ্গন কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ ক্যারোলিনার এক সমীক্ষা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে মধুর আলিঙ্গনে অক্সিটোসিন নামের এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ অধিক মাত্রায় হয় যা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে!
advertisement
২. ঘুমে সাহায্য করে
স্বপ্নে অনেকেই সঙ্গী/সঙ্গিনীকে আলিঙ্গনে খুঁজে পান। কিন্তু ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে যে যদি ঘুমোতে যাওয়ার আগে মনের মানুষকে অল্পক্ষণের জন্য হলেও নিবিড় আলিঙ্গনে বেঁধে রাখা যায়, তাহলে সেটা না কি একটা গভীর ঘুম আনতে সাহায্য করে! আর ঘুম ভালো হলেই প্রাণশক্তি বাড়ে, মেজাজ হাসিখুশি থাকে!
৩. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সের এক সমীক্ষাপত্র বলছে যে আলিঙ্গনের সঙ্গে কর্টিসল নামের এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণের সম্পর্ক রয়েছে। এই কর্টিসল হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। কিন্তু নিবিড় আলিঙ্গন এই হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
৪. হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখে
আলিঙ্গনের সময়ে অক্সিটোসিন নামে যে হরমোনের ক্ষরণের কথা সবার আগে বলা হয়েছিল, তা হৃদস্পন্দনের দ্রুত হার কমিয়ে তাকে স্বাভাবিক সীমায় নিয়ে আসে। এর জেরে শরীর শান্ত থাকে, ভালো থাকে।
এই সব কিছুর কথা যদি ছেড়েও দেওয়া যায়, তাহলেও কিন্তু একটা ব্যাপারকে উপেক্ষা করা যায় না- মনের মানুষের নিবিড় স্পর্শ আমরা সবাই উপভোগ করি, তা আমাদের অনেক দুঃসময়ে ভরসা জোগায়! সেই সব মাথায় রেখেই কি এবার প্রতি দিন আলিঙ্গনের বাঁধন বাধ্যতামূলক করে তোলা যায় সম্পর্কে?