তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বর্ষাকালে অতিরিক্ত আর্দ্রতার মোকাবিলা করতে পারলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। সেটা কীভাবে? এর কিছু প্রতিকার রয়েছে। এর জন্য বাজার থেকে দামি পণ্য কেনার প্রয়োজন নেই। রান্নাঘরের কয়েকটা উপাদান দিয়েই চমৎকার সুফল পাওয়া যাবে। এখানে শুষ্ক এবং উস্কোখুস্কো চুল থেকে মুক্তির পথ নিয়ে আলোচনা করা হল...
advertisement
নারকেল তেল: চুলে নারকেল তেলের ব্যবহার বহু প্রাচীন। মা-ঠাকুমাদের আমল থেকে চলে আসছে। কিন্তু এটা এখনও সমান কার্যকর। এবং চুলের যত্নে এর ব্যবহার পরীক্ষিত সত্য। আবহাওয়ার আর্দ্রতা চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতাকে নষ্ট করে দেয়। নারকেল তেল সেটা ফিরিয়ে আনে। চুল প্রাকৃতিকভাবে চকচকে এবং মসৃণ হয়।
আরও পড়ুন: ৩০ এর পরও যৌন জীবনে থাকবে ভরপুর আনন্দ, মানতে হবে এই ছোট্ট ব্যাপার
ড্রায়ার নয়: বর্ষার মরশুমে চুলে হিটিং বা স্টাইলিং অ্যাপ্লায়েন্সগুলো ব্যবহার না করাই ভাল। শুষ্ক এবং উস্কোখুস্কো চুলের সমাধানের এটা সেরা উপায়। হেয়ার ড্রায়ারের মতো হিটিং যন্ত্রগুলো আদতে চুলের ক্ষতিই করে। একান্তই ব্যবহার করতে চাইলে স্প্রে ফর্মাটে নারকেল তেল দিয়ে কন্ডিশন করে নিতে হবে। এটা তাপ-রক্ষাকারী সিরাম হিসেবে কাজ করবে।
প্রোটিন: প্রোটিন, বিশেষ করে কেরাটিন-ভিত্তিক উপাদানগুলি বর্ষার মরশুমে চুলের সেরা বন্ধু। কারণ এটা দুর্দান্ত কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। ব্যবহৃত কন্ডিশনারে যদি কেরাটিন থাকে তাহলে সেটা চুলকে শুধু ঝরঝরে করে তুলবে তাই নয়, উজ্জ্বল এবং চকচকেও করে তুলবে।
আরও পড়ুন: ডিপ্রেশন থেকে কমে যৌন ইচ্ছা! এই উপসর্গ থাকলে শীঘ্রই যোগাযোগ করুন চিকিৎসককে
ড্রাই শ্যাম্পু: বর্ষাকালে হাতের কাছে একটা ড্রাই শ্যাম্পুর বোতল রাখতে হবে। বৃষ্টিতে ভিজলেই সবসময় শ্যাম্পু করা সম্ভব নয়। অনেক সময় শুধু স্নানটাও করা হয় না। এই সময় সবচেয়ে ভাল বিকল্প ড্রাই শ্যাম্পু। বৃষ্টিতে ভেজার পর মাথায় সামান্য স্প্রে করে দিলেই মাথার ত্বক এবং চুলে বিস্ময়কর কাজ করবে।
চুল কাটা: এর পরও উস্কোখুস্কো চুল থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে বর্ষার মরশুমে চুল ছেঁটে নেওয়া যায়। এতে চুলের ডগা ভাঙার হাত থেকে মুক্তি মিলবে। বাইরে বেরোনোর সময় কয়েক ফোঁটা নারকেল থেকে মেখে নিলেও ভাল কাজ দেবে।