কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না (Anti Ageing Tips)। চল্লিশ পেরোলেই এনার্জি লেভেল কমতে থাকে। শক্ত হতে শুরু করে ঘাড়, কোমর। শরীর জানান দেয়, ‘ভায়া বুড়ো হচ্ছো’ (Anti Ageing Tips)। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই দোষারোপ করে পুরনো ‘বদভ্যাস’কে। মনে হয়, ইশ, যদি আগে থাকতে শরীরের দিকে একটু নজর দিতাম! তাই আগাম সতর্ক হওয়ার এটাই সময়। শুধু কয়েকটা টিপস মেনে চললেই হবে। রুখে দেওয়া যাবে বার্ধক্যকে।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের দিনে গায়ে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হলুদের হালুয়া খান, জানুন উপকারিতা!
শারীরিক কার্যকলাপ
যাঁরা প্রতি দিন ব্যায়াম করেন, তাঁরা শুধু দীর্ঘজীবীই হন তাই নয়, সুস্থ ও নীরোগ থাকেন। এমনটাই বলছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এজিং। তাঁদের মতে, প্রতি দিন সকালে দৌড়নো, বাগান করা, কুকুরকে হাঁটানো, লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করার মতো ছোটখাটো কাজে মন প্রফুল্ল থাকে সঙ্গে শরীরও।
যোগা
সতেজ মন ও সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি লুকিয়ে যোগায়। নিয়মিত যোগাভ্যাসে পেশির নমনীয়তা বাড়ে, শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এগুলির পাশাপাশি যোগাসন করার সময়ে মনোসংযোগ বাড়ে, একই সঙ্গে বাড়ে মন ভাল রাখার হরমোনের ক্ষরণ। মোরারজি দেশাই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ যোগার ডিরেক্টর ড. ঈশ্বর ভি বাসবরেড্ডির কথায়, মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন করে যোগা। ব্যক্তি চেতনার সঙ্গে মেলে সর্বজনীন চেতনার। ফলে শরীর থাকে তরতাজা।
আরও পড়ুন: একবার করোনা হওয়ার পর কি ওমিক্রনে ফের আক্রান্ত হতে পারেন? জানুন
পর্যাপ্ত ঘুম
সুস্থ শরীরের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। বিশেষ করে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমনো উচিত। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, ঘুমের প্রধান কাজ হল, শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া এবং আমাদের শারীরিক ক্ষমতাকে পুনরুদ্ধার করা। সুস্থ থাকার জন্য এক জন মানুষের নির্দিষ্ট সময় স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে ঘুমনো আবশ্যিক।
স্বাস্থ্যকর খাবার
৪০ বছর বয়সের পরে, প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রইয়েন্ট, ফাইবার, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-যুক্ত খাবার বাছা উচিত। এককথায় ক্যালরি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট, সোডিয়াম ও চিনি কম এমন খাবার বাছা দরকার। কারণ এগুলো ওজন ঠিক রেখে সুস্থ এবং সচল-কর্মক্ষম থাকতে সাহায্য করে। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
ওজন
সুস্থ থাকতে গেলে রোগা হতে হবে, এমন ধারণা ভুল। বরং নির্দিষ্ট বয়সের জন্য সর্বোত্তম বডি মাস ইনডেক্স বুঝতে হবে। দৈর্ঘ্য এবং ওজনের অনুপাতকে বিএমআই বা বডি মাস ইনডেক্স বলা হয়। কোনও ব্যক্তির উচ্চতা এবং ওজনের ভিত্তিতে যদি তাঁর বিএমআই সূচকটি ১৮.৫-এর নীচে নেমে যায় তবে তা স্বাভাবিকের থেকে কম হয়। বিএমআই স্তর যদি ২৫ বা তার বেশি হয় তবে সাবধান হতে হবে।
মেডিক্যাল চেক আপ
সুস্থ জীবনের জন্য নিজের শরীরকে জানতে হবে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর রুটিন মেডিক্যাল চেক আপ করানো জরুরি। চিকিৎসক যে পরামর্শ দেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। তবেই মিলবে রোগমুক্ত দীর্ঘ জীবন।