ধনেপাতার খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। তবে, কিছু মৌলিক বিষয়ের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বাগান বিশেষজ্ঞ রমেশ কুমার বলেন যে, প্রথমেই দেখা গুরুত্বপূর্ণ যে কোথায় গাছ লাগানো হচ্ছে। ধনেপাতা জন্মানোর জন্য সূর্যের আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কারও বাড়িতে এমন কোনও জায়গা থাকে যেখানে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা সূর্যের আলো আসে, তাহলে ধনেপাতা চাষ করাই যায়।
advertisement
এছাড়াও, গাছের বৃদ্ধিতে পাত্রও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধনেপাতা লাগানোর জন্য প্রশস্ত অথচ অগভীর পাত্রই সবচেয়ে ভাল। পাত্রের মাটিতে নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল হওয়া উচিত যাতে অতিরিক্ত জল জমে না থাকে এবং শিকড় নষ্ট না করে। এছাড়াও, মাটিতে সামান্য গোবর সার বা ভার্মিকম্পোস্ট যোগ করলে গাছে পুষ্টি বেশি পায় এবং অঙ্কুরোদগম দ্রুত হয়।
রমেশ কুমার জানান, ধনেপাতা বীজ বপনের আগে হালকাভাবে চেপে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এতে বীজ দ্রুত অঙ্কুরিত হয় এবং গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পাত্রের মাটিতে ১ থেকে ১.৫ সেন্টিমিটার গভীরে বীজ বপন করতে হবে এবং উপর থেকে হালকা মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এরপর হালকা স্প্রে দিয়ে জল ঢেলে দিতে হবে, যাতে বীজ ভেসে না যায়। গাছগুলি প্রায় ১২ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে অঙ্কুরিত হতে শুরু করে। তিনি জানান যে, ধনেপাতায় নিয়মিত জল দেওয়া প্রয়োজন, তবে মনে রাখতে হবে যেনও জল বেশিক্ষণ পাত্রে জমে না থাকে। সকালে বা সন্ধ্যায় হালকা জল ঢালা ভাল। গাছ ছোট হলে তাদের তীব্র রোদ থেকে রক্ষা করা উচিত, তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত রোদ দেওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত যত্নে ধনেপাতা দুই মাস ধরে একটানা সবুজ থাকে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. নরেন্দ্রকুমার জানান, ধনেপাতা কেবল শাকসবজির স্বাদ বাড়াতেই ব্যবহৃত হয় না, বরং এটি অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাতেও পরিপূর্ণ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং কে পাওয়া যায়। এছাড়াও, এটি হজম ব্যবস্থা উন্নত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান অপসারণে সাহায্য করে। প্রতিদিন তাজা ধনেপাতা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়।