বিশেষজ্ঞরা এই অভ্যাস পরিবর্তনের কথা বলেন। ইয়াথার্থ হাসপাতাল, নয়ডা এক্সটেনশনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শিখা খারে বলেন, ‘বয়ঃসন্ধি অনেক পরিবর্তন আনে। ব্রণ, তৈলাক্ত ত্বক এবং সংবেদনশীলতা তৈরি হয়। এসময় ত্বকের যত্ন প্রয়োজন।’
advertisement
কিন্তু কেন কিশোর-কিশোরীদের উচিত নয়, বড়দের পণ্য ব্যবহার করা—
ত্বকের গঠনে তারতম্য:প্রাপ্তবয়স্ক জন্য তৈরি পণ্যগুলি সাধারণত তাঁদের বার্ধক্য জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। এতে রেটিনয়েড এবং আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (AHAs)-এর মতো শক্তিশালী রাসায়নিক থাকে। কিশোর ত্বকের জন্য এগুলি আর সমস্যা তৈরি করতে পারে।
অ্যালার্জির ভয়:এই সময় ছোটদের মধ্যে সংবেদনশীলতা এবং অ্যালার্জি প্রবণতা বাড়ে। প্রাপ্তবয়স্ক পণ্যে প্রয়োজনীয় তেল, অ্যালার্জেনিক সুগন্ধি এবং প্রিজারভেটিভস থাকে যা কিশোর ত্বকে লালভাব, চুলকানি বা গুরুতর অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে।
অতিরিক্ত আর্দ্রতা:বয়ঃসন্ধিকালে সিবাম উৎপাদন বৃদ্ধি হয়। ফলে ত্বক আরও স্থিতিস্থাপক এবং তৈলাক্ত হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ঠিক উল্টো। তাঁদের বাইরে থেকে কোনও পণ্য লাগিয়ে তৈলাক্ততা বজায় রাখতে হয়। তাই কিশোর ত্বকে ওই পণ্য লাগালে তেলের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টি-এজিং উপাদান:কিশোর-কিশোরীরা প্রাকৃতিক ভাবে প্রাণবন্ত এবং তারুণ্যময় ত্বকের অধিকারী। কোলাজেন বুস্টার বা শক্তিশালী ইমোলিয়েন্টের মতো উপাদানের প্রয়োজন তাদের নেই। এই সব উপাদান প্রাকৃতিক অবস্থাকে বিপন্ন করতে পারে।
এধরনের পণ্যে অনেক তেল এবং ভারী ধাতু থাকে যা রোমকূপের মুখ বন্ধ করে দিতে পারে। তবে শুধু ত্বক নয়। চুলের ক্ষেত্রেও এটি সত্য। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি শ্যাম্পু কড়া হয়ে থাকে।
তাই কিশোর-কিশোরীদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী ত্বক চর্চা করা প্রয়োজন। তার ফলে স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ও সৌন্দর্য বজায় থাকবে। কোনও ক্ষতি হবে না।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F