লপসির স্বাদ এবং গুরুত্ব
লপসি হল উত্তরাখণ্ডের একটি ঐতিহ্যবাহী ক্ষীরের মতো মিষ্ট পদ, যা পাহাড়ি অঞ্চলে গমের আটা দিয়ে তৈরি করা হয়। যদিও শহরাঞ্চলে এটি দই দিয়ে তৈরি করা হয়, তবুও আসল পাহাড়ি স্বাদ আসে সাধারণ গমের আটা দিয়ে ভাজা লপসির মধ্যে। এর বিশেষত্ব হল এই মিষ্টিটি যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকর।
advertisement
এটি কেবল বাড়িতে খাওয়ার জন্যই তৈরি হয় না, উত্তরাখণ্ডের অনেক মন্দিরে এটি প্রসাদ হিসেবেও বিতরণ করা হয়। এর অর্থ হল লপসি কেবল স্বাদেই বিশেষ নয়, এর গভীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্যও রয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি লপসি কীভাবে তৈরি করতে হয়?
লপসি তৈরির রেসিপি খুবই সহজ। প্রথমে এক বাটি গমের আটা ছেঁকে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার একটি প্যানে তিন চামচ দেশি ঘি গরম করে মাঝারি আঁচে আটা সোনালি বাদামি করে ভাজতে হবে। আটা ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে এতে দুধ দিয়ে ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন যাতে তাল পাকিয়ে না যায়। এর পরে স্বাদ অনুযায়ী চিনি দিতে হবে। চাইলে কাজু, বাদাম, কিশমিশের মতো শুকনো ফলও দেওয়া যায়, যা এর স্বাদ এবং পুষ্টি দুই বৃদ্ধি করবে। এবার এই মিশ্রণটি ঢেকে কম আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করতে হবে। যখন এটি ঘন হয়ে ঘি ছাড়তে শুরু করবে, তখন বুঝতে হবে লপসি প্রস্তুত।
উৎসবের বিশেষ মিষ্ট পদ
বাগেশ্বর এবং আশেপাশের অঞ্চলে বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে লপসি প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়। এর স্বাদ যেমন বিশেষ, তেমনই এর ধর্মীয় অনুভূতিও ততটাই গভীর। এই মিষ্ট পদ কেবল স্বাদকোরককেই তৃপ্ত করে না, বরং পূজা এবং উৎসবে ভক্তির প্রতীক হয়ে ওঠে।