মালদহ জেলার ইতিহাস গবেষক এম আতাউল্লাহ জানান, অনেকে ভুল ধারণাগুলো তুলে ধরে ইতিহাসকে বিকৃত করছেন। এই নিমাসরাই মিনার সুলতানি আমলে আফ্রিকা থেকে আসা একজন ফারসি শাসক মোজাফফর শাহ তৈরি করেছিলেন। এই নির্মাণটি আসলে আফ্রিকান নির্মাণ শৈলীর ধাঁচে তৈরি করা হয়েছিল। দেওয়ালে বাইরে থাকা হাতির দাঁতের মতো দেখতে অংশটি কোনও হাতির দাঁত নয়। বরং এটি হচ্ছে পোড়ামাটি ও পাথর চূর্ণ করে মিশ্রণের তৈরি একটি অলংকার বা বিষয়বস্তু। অনেকে মনে করেন এটি নদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকায় ওয়াচ টাওয়ার হিসেবে কাজ করত। তবে এটি কোনও সাধারণ ওয়াচ টাওয়ার নয়। গৌড় সাম্রাজ্যে শত্রুদের আক্রমণের প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর জন্য একটি আশ্রয়স্থল। যা প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় ও পান্ডুয়ার মধ্যবর্তী স্থানে তৈরি করা হয়। তবে বর্তমানে এই নির্মাণটির ভগ্নদশা জরাজীর্ণ অবস্থার জন্য পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেনি।
advertisement
আরও পড়ুন : মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসছে রাশি রাশি মুদ্রা ভর্তি কলস! রহস্যময় কাণ্ড দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ
আজও মালদহের ঐতিহাসিক গৌড়ের নির্মাণগুলো দেখার জন্য জেলা-সহ ভিন জেলা থেকে পর্যটকরা আসেন গৌড় সাম্রাজ্যের ইতিহাসকে জানতে। তবে এই প্রাচীন মিনার জেলাবাসীর কাছে চর্চিত না থাকায় এর ইতিহাস আজও অজানা জেলার বহু পর্যটকদের কাছে।