সে প্রায় ২০০ বছর আগের ইতিহাস। দাঁতনে পদু ময়রার জিলিপি বেশ নামডাক। এই জিলিপি পৌঁছেছে কলকাতা এমনকি দিল্লি পর্যন্ত। বাংলা ওড়িশার সীমানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন নানা কারণে বিখ্যাত হলেও স্থানীয় স্কুল বাজার এলাকায় পদু ময়রার জিলিপি সমান বিখ্যাত। আসলে এই পদু ময়রার নাম পদ্মলোচন রায়। দাঁতনে ছিল তার মিষ্টির দোকান। এলাকার চাউলিয়া গ্রামের পদ্মলোচন ওরফে পদু শুরু করেন জিলিপি ভাজা। এককালে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বহু বিখ্যাত মানুষ এই জিলিপি খেয়ে দেখেছেন। এখনও বহু মানুষ পদু ময়রার উত্তরপুরুষের দোকান থেকে জিলিপি কিনেন।
advertisement
তবে পদু ময়রার সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে তার উত্তরপুরুষেরা। এই জিলিপি দেখতে বেশ মুচমুচে, মোটা রসে ছাঁকা জিলিপি। মাত্র আড়াই প্যাঁচে ভাজা হলেও ভাজার ধরন একটু আলাদা। বড় হাতা কড়াই এর গরম তেলে চুবিয়ে রেখে, তার উপর চার থেকে পাঁচটি জিলিপি ছাড়া হয়। এক একটি দেখতে লাগে এক টাকার কয়েনের মতো। এটাই নাকি পদু ময়রার জিলিপি ভাজার স্টাইল। এভাবেই বংশ পরম্পরায় এখনও একইভাবে ভাজা হয় জিলিপি।
আরও পড়ুন : নবদম্পতির বাড়িতে কেন ফেলা হয় কার্তিকঠাকুরের মূর্তি? প্রাচীন রীতির কারণ জানুন
পদু ময়রার হাতের তৈরি জিলিপির স্বাদ পেতে আপনাকে আসতে হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে। পদু ময়রার পর চার পুরুষ ধরে এই ব্যবসা চলে আসছে। এখনও সকাল থেকে ব্যস্ততা থাকে মিষ্টির দোকানে। দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। তবে শুধু খাবার হিসেবে নয়, দাঁতনের এই ছোট্ট জিলিপি বয়ে চলেছে এককালের ইতিহাসকে। ২০০ বছরের পরম্পরার ধারাবাহিকতার সাক্ষী পদু ময়রার জিলিপি।