ডিএসসিআই-এর ক্লিনিক্যাল অঙ্কোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. প্রজ্ঞা শুক্লা বলেন, ক্যানসার রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে একটি দর্শনীয় প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। দিল্লির এনসিটি সরকারের অধীনস্থ ডিএসসিআই মূলত একটি স্বায়ত্তশাসিত ক্যানসার কেয়ার ইনস্টিটিউশন। দিল্লি-এনসিআর এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে প্রতিদিন এখানে প্রায় ৫০০ ক্যানসার রোগীর সমাগম ঘটে।
ডা. শুক্লা বলেন, প্রায় এক দশক আগে বয়সের সঙ্গে যোগ ছিল ক্যানসারের। কিন্তু আজকাল তরুণদের মধ্যে ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। যা বেশ পরের স্টেজে গিয়ে ধরা পড়ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, অ্যালকোহল, তামাক সেবন এবং রোগের পারিবারিক ইতিহাস না থাকা সত্ত্বেও বহু রোগী ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। শুক্লা এবং ডিএসসিআই-এর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পশ্চিমী প্রবণতার বিপরীতে ভারতীয় তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে কোলন ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। যা বেশ আক্রমণাত্মক প্রকৃতির।
advertisement
আরও পড়ুন: এটা কী! দিঘার সমুদ্রে ‘দানব’, মাথায় হাত সকলের! ছোটাছুটি লেগে গেল পর্যটকদের মধ্যে
দুর্বল ইমিউন সিস্টেম এবং দ্রুত কোষ বিভাজনের জেরে এই ধরনের বিষাক্ত পরিবেশ শিশুদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ডা. শুক্লার সাবধানবাণী, “দূষণকারী পদার্থের প্রভাব কার্সিনোজেনিক এবং তা শিশুদের দুর্বল দেহে প্রবেশ করছে। আর কার্সিনোজেন হল একটা উপাদান, যা ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী। ভবিষ্যতে একদিন ক্যানসারের ঘটনা বেড়ে যাবে। আর আমরা সেটাকে বিষ বাতাসের সঙ্গে মেলাতে পারব না। আর এই ধরনের একিউআই-এর কারণে শিশুদের লিউকেমিয়া এবং অন্য ধরনের ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ‘তোমরা দেখো’, জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে বড় বার্তা মমতার! মন্ত্রিসভায় বুঝিয়ে দিলেন সব
ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংযোজন, “আমরা প্রতিদিন আমাদের সন্তানদের ধূমপান করতে বাধ্য করছি।” নিজের পুত্রের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “আমার ছেলে বাস্কেট বল খেলে আসার পর আচমকাই শ্বাসকষ্টের সম্মুখীন হয়েছিল। অথচ আমার ছেলে ইন্ডোরেই প্র্যাকটিস করছিল। স্টেডিয়াম খুবই ভাল এবং এয়ার পিউরিফায়ারও ইনস্টল করা ছিল। কিন্তু ১৫ মিনিটের মধ্যেই আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।”
অ-ধূমপায়ী থেকে মহিলা বহু মানুষের মধ্যেই ফুসফুসের ক্যানসার দেখা যাচ্ছে। আর বায়ুদূষণের কারণেই শুধুমাত্র এই ধরনের ক্যানসার হবে, তার কোনও মানে নেই। বায়ুদূষণের সংস্পর্শে সবার আগে আসে ফুসফুস। যার মাধ্যমে দূষণকারী পদার্থ মানবদেহে প্রবেশ করে। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সব দূষণকারী পদার্থের বদল ঘটে এবং তা কার্সিনোজেনিক হিসেবে কাজ করতে শুরু করে।
