সিটিএম: ত্বকে নিয়মিত সিটিএম করতে হবে। অর্থাৎ ক্লিনিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং। এটাই ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষার প্রথম ধাপ। এজন্য ময়শ্চারাইজিং বডি সোপ ব্যবহারের পরামর্শ দেন স্কিন বিশেষজ্ঞরা। তাহলেই এক ঢিলে তিন পাখি মারা যাবে।
আরও পড়ুন: গরমের দুপুরে ঠান্ডা হতে দই-ভাত খাচ্ছেন? কী কী হতে পারে এতে জানুন
পুষ্টিকর খাবার: খাদ্যের সঙ্গে ত্বকের স্বাস্থ্য জড়িত। রোজকার খাবারদাবার থেকেই পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে ত্বক। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সুষম আহার রাখতেই হবে। খাবারে থাকা পুষ্টি, খনিজ এবং প্রোটিন শুধু শরীর নয় ত্বককেও ঝকঝকে করে। ইউভি এক্সপোজারের মতো ক্ষতিকর জিনিস থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
advertisement
প্রাণ খুলে হাসতে হবে: হাসির সময় আমাদের মুখের টিস্যু আর পেশিগুলো বেঁকে-চুরে যায় যা অনেকটা ফেসিয়াল ব্যায়ামের মতো কাজ করে। মুখের টিস্যু আর পেশি এর ফলে টানটান, সতেজ থাকে যা মুখের ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখে। ফলে মুখে বলিরেখার প্রকোপ অনেক কম পড়ে। তাছাড়া হাসলে রক্ত প্রবাহ ভালো হয়। যার ফলে ত্বক আরও বেশি অক্সিজেন এবং পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। তাই বলা হয়, হাসির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে চিরযৌবনের রহস্য! হাসিমুখ আর মনের আনন্দ ধরে রাখতে পারলেই বয়সের বিরুদ্ধে অসম লড়াইটা অর্ধেক জিতে নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: যত্ন নিয়েও গোছা গোছা চুল উঠছে? এই খাবারগুলি দ্রুত বন্ধ করুন!
প্রচুর জল খেতে হবে: দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হয়। পরিষ্কার জলে মুখ ধুতে হয়। তবেই বজায় থাকে ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জল্য। সেই সঙ্গে ত্বকের অম্লত্ব-ক্ষারত্বের পরিমাণও কিন্ত ঠিক থাকে। জল নিয়ম করে খেলে তবেই ডিটক্সিফিকেশন ভাল হবে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বাইরে বেরিয়ে যাবে। এতে ত্বকের মুখ উন্মুক্ত হবে। এবং ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ হাওয়া-বাতাস চলাচল করবে। সেই সঙ্গে ব্ল্যাক হেড, দূর করতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই ডিটক্সিফিকেশনের। এছাড়াও অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহারের ফলেও কিন্তু ত্বক কুঁচকে যায়। ত্বকে ক্লান্তি আসে। আর তাই প্রচুর পরিমাণ জল অবশ্যই খেতে হবে। ত্বক যত বেশি জল ধরে রাখতে পারবে ততই কিন্তু সুবিধে।
প্রতিদিন ব্যায়াম: শারীরিক ব্যায়াম করলে ত্বকের নিচের রক্তনালিতে রক্ত চলাচল বাড়ে। এভাবে ত্বকে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ নিশ্চিত হয়। একইভাবে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর উপাদান সরিয়ে নিতেও ব্যায়াম সহায়ক হিসেবে কাজ করে।