অফিসের প্রেম যে শুধু সহকর্মীদের মধ্যেই অঙ্কুরিত হবে, তার কিন্তু কোনও মানে নেই! হতেই পারে যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনও একজনের অধস্তন কোনও কর্মীকে পছন্দ হয়েছে। সব অফিসেই এরকম একটা গল্প কি খুঁজেও পাওয়া যায় না?
আরও পড়ুন - সন্তান লম্বা হচ্ছে না? স্বাস্থ্যরক্ষার এই দিকগুলো আপনি অবহেলা করছেন না তো!
advertisement
কিন্তু কথা হল, কী ভাবে বোঝা যাবে যে বস তাঁর জুনিয়রকে ভালোবেসে ফেলেছেন? সেক্ষেত্রে তাঁর নির্দিষ্ট কিছু আচরণ এই মনোভাবের জানান দেবে, সেগুলো কী দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!
ফ্লার্ট করা
আমরা যাঁকে ভালোবাসি বা শারীরিক ভাবে পছন্দ করি, তাঁর সঙ্গে ফ্লার্টও করে থাকি। এক্ষেত্রে ভেবে দেখতে হবে বসের আচরণে নিয়মিত এই লক্ষণটি লুকিয়ে আছে কি না! থাকলে এটা স্পষ্ট- তিনি একটা ইঙ্গিত দিতে চাইছেন! তবে ফ্লার্টিংয়ের মধ্যে অসাধু উদ্দেশ্য আছে কি না, সময় তার জানান দেবে!
প্রাইভেট মিটিং
অফিস মিটিং এক ব্যাপার আর প্রাইভেট মিটিং আরেক ব্যাপার! বস যদি কথায় কথায় প্রাইভেট মিটিং করেন, তাহলে তা তাঁর দুর্বলতার প্রকাশ বইকি! মানে তিনি ওই কর্মীর সঙ্গে একটু একা সময় কাটাতে চাইছেন।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সাহায্য
অফিস প্রতিযোগিতার জায়গা! সেক্ষেত্রে বস যদি বিশেষ কোনও কর্মীকে অন্যদের চেয়ে প্রয়োজনের বেশিই সাহায্য করেন, বুঝতে হবে যে ব্যাপারটা আদপেই পেশাদার নয়, এর মধ্যে রয়েছে ভালোবাসার ইঙ্গিত।
আকচার টেক্সট/কল
বস যদি কর্মীকে পছন্দ করেন বিশেষ ভাবে, তাহলে তাঁকে আকছার টেক্সট/কল করবেনই, এটা আর কিছুই নয়, যোগাযোগ রাখতে চাওয়ার বহির্প্রকাশ। মানেটাও একেবারে জলের মতো সহজ- তিনি যতটা সম্ভব কথা চালিয়ে যেতে চাইছেন।
বিশেষ চোখে দেখা
এর মানেও খুব সহজ- অন্যদের ক্ষেত্রে না হলেও সেই বিশেষ কর্মীর স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি খেয়াল রেখে অফিসের নিয়ম পাল্টানো! এটা যদি বস করেন, তার মানে তিনি সেই কর্মীকে অন্যদের চেয়ে আলাদা ভাবে দেখেনই, সেটা তাঁর ভালোবাসারই পরিচায়ক।