জনৈক পাঠক পল্লবীর কাছে জানিয়েছেন যে দেশে হোক বা বিদেশে, ধর্ষণ নিয়ে নানা খবর নিত্য উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু সেটা প্রতিকারের উপায় নিয়ে তিনি কাউকে আলোচনা করতে দেখেননি বা বলা ভালো এই রকম কিছু তাঁর নজরে পড়েনি। তাই তিনি পল্লবীর কাছে এই সমস্যার প্রতিকারের উপায় জানতে চেয়েছেন!
পল্লবী নিঃসন্দেহেই এই পাঠকের বক্তব্যের প্রথম অংশের সঙ্গে একমত- ধর্ষণ যেন এক সামাজিক ব্যাধি! কিন্তু তার প্রতিকারের উপায় নিয়ে আলোচনা যে হয় না, এমনটা তো নয়! এমনও নয় যে প্রতিকার-সংক্রান্ত উদ্যোগের খবর সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে না! এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকার দ্বারা প্রস্তাবিত শক্তি বিলের কথা বলা যায়! ফলে সবার প্রথমে অনুরোধ করেছেন পল্লবী এই পাঠককে- তিনি যেন এই বিষয়ে নিজের জানার চৌহদ্দিটা আরও একটু বিস্তৃত করেন!
advertisement
এর পরের ধাপেই এসেছে সেই অমোঘ প্রশ্ন- ধর্ষণের সঙ্গে কি আদৌ যৌনতার কোনও সম্পর্ক আছে? এটি যথেষ্ট বিতর্কিত একটি বিষয় যে ধর্ষক আদৌ কোনও শারীরিক সুখলাভ করে কি না! এই নিয়ে আলোচনার পুরোটাই পড়ে মনস্তত্ত্বের খাতে। তাই পল্লবী সবিনয়ে জানিয়েছেন যে যৌন পরামর্শের লেখায় এই বিষয় টেনে আনা যায় না! কেন না, এমন নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই যে তা নিবারণ করতে পারলেই ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে!
তবে এই প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি পল্লবী। যে যৌন সম্পর্কে একপক্ষের সম্মতি থাকে না, কার্যত তাকেও ধর্ষণেরই তকমা দিতে হয়। যেমন বৈবাহিক ধর্ষণ! তাই অন্তত এক্ষেত্রে প্রতিকারের উপায়টি চিহ্নিত করে তা তুলে ধরতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞ। বলেছেন- সব সময়ে অপর পক্ষের সম্মতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে! সেক্ষেত্রে বৈবাহিক ধর্ষণের মতো ঘটনা অন্তত বন্ধ করা যায়!
তবে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকুক আর না-ই থাকুক, যে কোনও সময়েই সঙ্গী/সঙ্গিনীর সম্মতি যে অত্যন্ত প্রয়োজন এবং সেটাই সুখের মূল চাবিকাঠি, উল্লেখ করতে ভুলছেন না পল্লবী!
Pallavi Barnwal