অত্যন্ত জটিল প্রশ্ন, সন্দেহ নেই! আমাদের সমাজে এমন বহু সম্পর্কের ভাঙন দেখা যায় যেখানে এক পক্ষ বাইসেক্সুয়াল, অন্য পক্ষ হোমোসেক্সুয়াল। সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় হওয়ার পরেও অনেক সময়ে পরিবারের চাপে বা স্বেচ্ছায় যখন বাইসেক্সুয়াল ব্যক্তিটি বিয়ে করেন, তখন সম্পর্ক ভেঙে যায়। এই ঘটনা শুধু ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে নয়, সমাজের মানসিকতাতেও এক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যাকে সমাজের ক্রমবর্ধমান মানসিক অবসাদের কারণ হিসেবেও দেখা যায়।
advertisement
প্রশ্ন হল, বিয়ের পরেও কি যৌনক্ষেত্রে তৃপ্ত থাকতে পারেন বাইসেক্সুয়াল ব্যক্তিটি? সমাজ সাক্ষী- বিয়ের পরেও একাধিক ব্যক্তি সমলিঙ্গের মানুষদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যেতে কুণ্ঠা বোধ করেন না। যা জানাজানি হলে দাম্পত্যে প্রভাব পড়ে!
সেই দিক থেকেই এই পর্বে সমস্যাটি বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন পল্লবী। তিনি জানাচ্ছেন যে সমাজ হোমোসেক্সুয়ালদের যে চোখেই দেখুক না কেন, বাইসেক্সুয়ালদের সব সময়েই সন্দেহের চোখে দেখে, তার মধ্যে অবিশ্বাস থাকে, কিঞ্চিৎ পরিমাণ হলেও ঘৃণাও যে থাকে না- এমনটা জোর দিয়ে বলা যায় না। কেন না, যৌন প্রবৃত্তির দিক থেকে তাঁদের একজন হেটেরোসেক্সুয়াল ব্যক্তির তুলনায় যৌন সঙ্গী পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়। অতএব, ধরেই নেওয়া হয় যে বাইসেক্সুয়াল ব্যক্তি সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করবেন সারা জীবন- বিয়ের আগে যেমন, তেমনই বিয়ের পরেও!
পল্লবী বলছেন যে সেটা করার মধ্যে ক্ষতি কিছু নেই। কিন্তু বিয়ে মানে একটা দায়িত্ব, স্পষ্ট ভাবে বললে একটা প্রতিষ্ঠান এবং স্ত্রী বা স্বামীর প্রতি অনুগত থাকার দায়িত্ব! কোনও বাইসেক্সুয়াল ব্যক্তি যদি অকপটে নিজের যৌন পছন্দের কথা স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করার সাহস রাখেন এবং তাঁর সম্মতি সহযোগে সমলিঙ্গের যৌনসঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারেন, সেক্ষেত্রে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না। কিন্তু একেকজননের চরিত্র একেক রকমের হয়, তাই নিজেকে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে!
Pallavi Barnwal