দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকা:
ছোট ছোট ব্যাপারে উল্টো দিকের মানুষটিকে দোষারোপ করার অভ্যেস কিন্তু আমাদের প্রিয়জনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায়। তাই কঠোর মন্তব্য করার পরিবর্তে আমরা কী চাইছি, তা স্পষ্ট ভাষায় বোঝানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিজের ভুল স্বীকার করার সৎ সাহসও থাকা প্রয়োজন।
আত্মকেন্দ্রিক না-হওয়া:
advertisement
যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই, শুধু নিজের প্রয়োজন বা অপ্রয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকব এমনটা হয় না। এতে সম্পর্কে বিরক্তি ও দূরত্ব সৃষ্টির সম্ভাবনাই বেশি।
দুর্বলতায় আঘাত না করা:
এমন কোনও ব্যক্তি নেই, যার অতীত বা অন্য কোনও বিশেষ দিকে দুর্বলতা নেই। সেই দূর্বলতা আমাদের প্রিয়জনেরা কী ভাবে লুকিয়ে রাখবেন, তা তাদের উপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো। বারবার সঙ্গীর দুর্বল দিক নিয়ে তামাশা করা, অন্যদের সামনে নিজের প্রিয়জনকে অপদস্থ করা-- এ সব আসলে তাদেরকে আমাদের থেকে দূরেই নিয়ে যাবে।
'আমি কাউকে কেয়ার করি না' মনোভাব না রাখা:
'আমি পাত্তা দিই না' বা 'যাই হোক না-কেন' এই ধরনের মনোভাব কিন্তু আমাদের কাছের মানুষকে মূল্যহীন বোধ করায়। তাই এই সব মন্তব্য না-করাই সম্পর্কের জন্য ভালো। বারবার কাছের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারকে হেয় করা বা ভুলে যাওয়ার মতো মানসিকতা দেখালে ধীরে ধীরে কিন্তু তাঁরাও আগ্রহ হারাতে শুরু করবেন।
পছন্দের মানুষের জন্য কিছু করা অবশ্যই ভালো কথা, তবে তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না-হয়। এ ছাড়া সর্বক্ষণের সঙ্গী হলেও উল্টো দিকের মানুষটির স্বাধীন জীবন রয়েছে। সে জীবনে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কিন্তু আমাদের নেই। এই সহজ বিষয়টি যত দ্রুত আমরা বুঝতে পারব, ততই আমাদের সম্পর্ক মজবুত হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: হার্টের জন্য বিট! শীতের এই সব্জির জুস কিন্তু দারুণ উপকারী...