রঙ্গোলি বিহু বা বোহাগ বিহু উৎসবের জন্য আম, কাঁঠালের গাছ থেকে লাল পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করা হয়। এই পিঁপড়ে সুন্দর পাতার বাসা তৈরি করে তার ভিতরে বাস করে, ডিম পাড়ে। বসন্তকালে এরা প্রচুর পরিমাণে সাদা ডিম পাড়ে, যা দেখতে ধানের শিষের মতো।
মানুষ খুব সন্তর্পণে পিঁপড়েদের সরিয়ে ডিমগুলি নিয়ে নেয়। না হলে পিঁপড়ের আক্রমণে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
advertisement
পিঁপড়ের শরীরের থাকে অ্যাসিড জাতীয় তরল। যা তারা আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করে। উচ্চ অসমে বসবাসকারী উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ লাল পিঁপড়ের ডিম দিয়ে এক অম্লজাতীয় খাবার তৈরি করে খান।
মনে করা হয় এই খাবার খুবই পুষ্টিকর, প্রোটিনের একটি বড় উৎস। এছাড়াও এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায়। কিছু রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে বলেও বিশ্বাস।
রেসিপি—
অন্য সব সাবেকি অহমিয়া খাবারের মতো এটিও কাঠের আগুনে রান্না করাই প্রথা, তবে গ্যাসেও করা যায়। এতে কম মশলা ও তেল দেওয়া হয়।
– একটি পাত্রে তেল গরম করে কুচোনো পেঁয়াজ ভাজতে হবে বাদামি হওয়া পর্যন্ত।
– এবার এতে লাল পিঁপড়ের ডিম দিয়ে দিতে হবে।
– হলুদ, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে ভেজে নিতে হবে।
– এর মধ্যে নুন, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে পাঁচ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখতে হবে হালকা আঁচে।
– এতে টম্যাটোও দেওয়া যেতে পারে।
– পরে এর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে গরম মশলা। মিনিট দুয়েক ভেজে নেওয়ার পর গ্যাস থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
– চাইলে এটি স্টার্টার হিসেবে খাওয়া যায়। অথবা ভাত বা রুটির পদ হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।