ঠাকুর পরিবারের সদস্য সৈকত দাস জানান, শতাব্দী প্রাচীন এই রথ উৎসব ১৮১ বছর পূরণ করতে চলেছে। তাঁদের পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশ আমলে শুরু করেছিলেন এই রথ উৎসব। সেই থেকে আজও ধর্মীয় ঐতিহ্যগত পরম্পরা মেনে প্রতিবছর রথ উৎসবের আয়োজন করা হয় এই পরিবারের উদ্যোগে।
এলাকার স্থানীয় এক দোকানদার নিরঞ্জন পাল জানান, “ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি এখানে রথযাত্রা উৎসব হয়। ঠাকুরদাস দাস পরিবারের এই রথ উৎসব বহুদিন পুরনো। প্রতিবছরই সপরিবারে এই রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করি এবং মেলায় আসি।”
advertisement
এই পরিবারের রথ উৎসবে জগন্নাথ বলভদ্র ও সুভদ্রার পাশাপাশি পূজিত হন নারায়ণ শিলা এবং ব্রজমোহন রাধারানি। দাস পরিবারের ঠাকুরবাড়িতে রয়েছে ব্রজমোহন রাধারানির বিগ্রহ। এবং মাসির বাড়ি হিসেবে পরিচিত বাড়ির মন্দির। রথযাত্রা উপলক্ষে ব্রজমোহন রাধারানির বিগ্রহ নিয়ে আসা হয় মাসির বাড়ি অর্থাৎ দাস পরিবারের মন্দিরে। সেখানে ৭ দিন ধরে চলে পুজো অর্চনা। পাশাপাশি ভক্তদের জন্য আয়োজন করা হয় মহাভোগের। এই রথযাত্রা কেন্দ্র করে দু’দিন ব্যাপী বসে বিশাল মেলা। মেলায় ভিড় জমে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো ভক্তের।