রাস উৎসবের আগে অবশ্য দাঁইহাটে একই দিনে আরও একটি উৎসব হত। যেটা পরিচিত ছিল পট পূর্ণিমা নামে। সেই সময় শাক্ত সাধকরা বিভিন্ন শাক্ত দেবদেবীর পট এঁকে সেগুলোর সঙ্গে সামনে সং সাজিয়ে, মশাল জ্বালিয়ে, ঢাক বাজিয়ে পুজোর পরের দিন একটা শোভাযাত্রা বের করতেন। সেই পট পূর্ণিমা রাসের সঙ্গে মিলে, শাক্ত এবং বৈষ্ণব দুটো ধারা একসঙ্গে মিলে গিয়ে আজকে দাঁইহাটের রাসের একটা মিলিত রূপ দেখা যাচ্ছে।
advertisement
অশেষবাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, “শুরু থেকে যদি বলি তাহলে রাস শব্দের শুরু হয়তো ৫০০ বছরের পুরনো। কিন্তু এই শোভাযাত্রা বেরনোর ইতিহাস যদি আমরা দেখতে যাই তাহলে সেটা হাজার বছরেরও বেশি পুরনো।” জানা গিয়েছে, দাঁইহাটের চন্দ্রবংশ এখনও তাঁদের বাড়িতে সখী এবং রাধাকৃষ্ণ তৈরি করে পুজো করেন। দাঁইহাট বাগটিকরা এলাকায় এখনও চন্দ্র বংশের সেই পুজো হয়। তবে অশেষ বাবুর কথায়, পট পূর্ণিমার আগেও দাঁইহাট গঙ্গার তীরে দেব দীপাবলি অনুষ্ঠান হত।
আরও পড়ুন : ক্ষীণ আদিগঙ্গার পাড়ে সযত্নে রক্ষিত মহাপ্রভুর আগমন চিহ্ন, রাসপূর্ণিমায় আসুন পুণ্যভূমি মথুরাপুরে
দেবতাদের উদ্দেশ্য গঙ্গায় প্রদীপ দান করা হত। তার পর শুরু হয় পট পূর্ণিমা এবং পরবর্তীতে রাস উৎসব। তবে ১৯৫১-৫২ সাল নাগাদ শেষ বারের মত পটচিত্র নিয়ে শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল। শহরের কিছু বহু পুরনো পুজো হল মা শবশিবা, মা বড়কালী, মা উগ্রচণ্ডী , মা কাত্যায়নী, মা গণেশজননী। বর্তমানে ৬০ টিরও বেশি পুজো হয় দাঁইহাট শহরে। শোভাযাত্রা হয়ে উঠেছে আগের থেকে অনেক জমজমাট। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জৌলুস বেড়েছে দাঁইহাট শহরের রাস উৎসবের। শোভাযাত্রার দিনে শহর জুড়ে ভিড় জমান লক্ষাধিক মানুষ।