কাকে বলে এই প্রোটিন কফি?
কফির মধ্যে যে দুধ থাকে তার পরিবর্তে প্রোটিন শেক মিশিয়ে যে কফি তৈরি করা হয় তাকেই বলে প্রোটিন কফি। বলা হচ্ছে যে সকালে এক কাপ প্রফি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। স্বাস্থ্য নিয়ে যাঁরা বেশি সচেতন তাঁরা এই পানীয় নিজেদের জন্য বেছে নিয়েছেন। যদিও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে কফির মধ্যে প্রোটিন পাউডার মেশালে আদৌ সেটা কার্যকরী হবে কি না!
advertisement
প্রোটিন কফি কী ভাবে তৈরি করতে হবে?
সত্যি বলতে কী, এই প্রোফি তৈরি করার নির্দিষ্ট কোনও রেসিপি নেই। যখন আইস কফি তৈরি করা হয়, তখন কোনও ভেষজ পাউডার মিশিয়ে বা প্রোটিন শেকের মধ্যে এসপ্রেসো মিশিয়ে এটা করা যেতে পারে। কফিতে প্রকৃত দুধ না দিয়ে ভেগান দুধ যা উদ্ভিদ থেকে আসে সেটা দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন : হৃদরোগ ও ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক, আন্তর্জাতিক কফি দিবসে জানুন এই পানীয়র গুণাগুণ
প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করলে সেটা গরম কফির চেয়ে আইসড কফিতে মেশানো অনেক বেশি সহজ। কতটা প্রোটিন পাউডার কফিতে দিতে হবে, সেটা নিজের স্বাদমতো বুঝে নিতে হবে। তবে একটি স্কুপই যথেষ্ট কারণ এতেই ২০ গ্রাম মতো প্রোটিন থাকে।
কেন এত ভরসা করা হচ্ছে এই পানীয়ের উপর?
কোষের বৃদ্ধি, মেরামত ও নতুন কোষের জন্মের জন্য শরীরে প্রোটিন দরকার। আমাদের শরীরে কেজি প্রতি .৮ গ্রাম প্রোটিন দরকার। বিশেষ করে যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাঁদের প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। আবার কফি শক্তি এবং এনার্জি দু'টোই যোগায়। ফলে এই দুইয়ের মেলবন্ধন সত্যিই ভালো বলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্রফি।
আরও পড়ুন : আপনার সকালের চায়ের পেয়ালাই ধরে রাখে ত্বকের জেল্লা
তবে যা মাথায় রাখা দরকার...
শরীরের জন্য কিন্তু সুষম খাবার যা প্রোটিনে পরিপূর্ণ সেটাই বেশি কার্যকরী। ডিম, কিনোয়া, ওটমিল এগুলোতেও যথেষ্ট মাত্রায় প্রোটিন থাকে। ফলে, সে দিকে নজর দেওয়াই বেশি ভাল। কেন না, এই রকম ট্রেন্ড আসে আর যায়। তাই, প্রতি বার নিজের শরীরের সঙ্গে এক্সপেরিমেন্ট করা ঠিক নয়।