তবে শুনতে খারাপ লাগলেও বিয়ে তো আদতে শারীরিক সম্পর্ক, তাই শরীরের ব্যাপারেও সচেতন হওয়া দরকার। তাই বিয়ের আগে উভয় পক্ষেরই কিছু মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে নেওয়া দরকার। কেন, একেক করে বললেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুন- হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ আদানির, বৈঠকে কী কথা হল ?
১. জেনেটিক টেস্ট
advertisement
দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক (The Sky Is Pink) ছবিটার কথা মনে আছে? অদিতি আর নীরেন চৌধুরির ছিল বিরল জিন বা ডিএনএ, ফলে তাঁদের দুই কন্যাসন্তানের কেউ বাঁচেননি। এমন সমস্যা আছে কি না সেটা তো নিশ্চিত করতে হবে। তা ছাড়া কিছু জেনেটিক রোগও প্রজন্মান্তরে সংক্রামিত হয়, যেমন ব্রেস্ট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখ। তাই যাঁকে বিয়ে করা হবে, তাঁর শরীরের ভিতরে কী চলছে, তার খবরও রাখা দরকার মনের মতো।
২. বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা
সন্তান না জন্মানোটাই একমাত্র ব্যাপার নয়, স্বামী-স্ত্রীর সুস্থ যৌনজীবনটাও এক্ষেত্রে একটা গুরুতর বিষয়। তাই বন্ধ্যাত্বের পরীক্ষা করানো দরকার। পুরুষটির শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গুণমান, নারীর ডিম্বাশয়ের স্বাস্থ্য- সব কিছু জেনে নিশ্চিত হয়ে নেওয়াটাই কি ভাল নয় ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়ার চেয়ে?
আরও পড়ুন- এসএসসি মেধাতালিকা তথ্যে নয়া চাঞ্চল্য
৩. যৌন রোগের পরীক্ষা
প্রাক-বৈবাহিক শারীরিক মিলন এখন আর কোনও ছুঁৎমার্গের বিষয় নয়। অতএব সেই সম্পর্ক থেকে হবু স্বামী/স্ত্রীর মধ্যে কেউ কোনও ভাবে সংক্রামিত হয়েছেন কি না, জেনে নিতে হবে না?
৪. ব্লাড গ্রুপ টেস্ট
স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপে সামঞ্জস্য থাকা, বিশেষ করে Rh ফ্যাক্টর এক থাকা দরকার, না হলে সন্তানের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভাবস্থাও হয়ে ওঠে ঝুঁকিপূর্ণ। এমন ঝুঁকি কি আদৌ কাম্য?