আসুন এই সমস্যার কারণ এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।-
পোস্টপার্টাম হেমোরেজের কারণ :
উটেরাইন অ্যাটোনি: অনেক ক্ষেত্রে যখন প্রসবের পরে জরায়ুর উটেরাইন টোন নরম এবং দুর্বল হয়ে পড়ে ,তখন এরকম একটি অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।
উটেরাইন ট্রমা: শিশুর জন্মের সময় যখন যোনি, সার্ভিক্স বা পেরিনিয়ামের ক্ষতি হয়।
advertisement
প্ল্যাসেন্টা টিস্যু : জরায়ুর প্রাচীর থেকে যখন প্ল্যাসেন্টা নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে না।
থ্রম্বিন: যদি একজন মায়ের কোয়াগুলেশন ডিজর্ডার বা প্রেগন্যান্সি ডিজর্ডার থাকে , তখন সেটা মায়েদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতাকে বাজেভাবে প্রভাবিত করে।
কাদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি :
বহু মহিলারই শিশুর জন্মের পর এই ধরণের সমস্যা দেখা যায়। এখন প্রশ্ন হল কাদের ঝুঁকি বেশি থাকে ? যে সমস্ত পেশেন্টদের প্ল্যাসেন্টার সমস্যা আছে যেমন প্ল্যাসেন্টা অ্যাক্রেটা, প্ল্যাসেন্টাল অ্যাব্রাপেশন বা রিটেন্ড প্ল্যাসেন্টা টিস্যু , তাদের মধ্যেই পিপিএইচ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোন মহিলা বড় বা বেশি ওজনের শিশুর জন্ম দিয়েছেন, কিংবা কোন মহিলার যমজ বা তার বেশি বাচ্চা হয়েছে। এই সমস্ত মায়েদের মধ্যে PPH এর সম্ভবনা থাকে। অন্যদিকে যে সমস্ত মায়েরা দীর্ঘক্ষণ প্রসব যন্ত্রনা সহ্য করেছেন বা ভাজিনাল ডেলিভারির সময় টিয়ারিং হয়েছে , যাদের প্রসবের আগে পিপিএইচ ছিল , অথবা কোনরকম সংক্রমণ এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল , তাদের মধ্যে PPH এর সমস্যা হতে পারে।
পোস্টপার্টাম হেমোরেজ প্রতিরোধ :
শিশুর জন্মের পর যাতে এই সমস্ত অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় , তার জন্য শিশুর জন্মের আগে থেকেই আপনাকে কিছু সাবধানতা নিতে হবে। তাই প্রসবের আগে এই পদক্ষেপগুলোর উপর নজর দিন।
প্রসবের আগে কারণগুলি চিহ্নিত করা
ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক প্রতিকার গ্রহণ করা
প্রসবের সময় জরায়ু সংকোচন সহজ করার জন্য নিয়মিত ওষুধ খাওয়া
এছাড়াও পিপিএইচের সমস্যা থাকলে , এর প্রভাব কমাতে অবশ্যই আয়রন নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।