বায়ুদূষণের সঙ্গে কনজাংটিভাইটিসের যোগ রয়েছে। নয়াদিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হসপিটালের চক্ষুরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. উমা মালিয়া বলেছেন, ‘বায়ুদূষণ ক্রমশ বাড়ছে। এতে কনজাংটিভাইটিস বাড়তে পারে। কনজাংটিভা আসলে একটি পাতলা ঝিল্লি যা চোখের সামনে এবং চোখের পাতার ভিতরের পৃষ্ঠকে ঢেকে রাখে। বায়ু দূষণের প্রভাব তার উপর পড়তে পারে।’
আরও পড়ুন: মাঝে মাঝেই ডিনার বাদ দেন? জানুন রাতে না খেয়ে ঘুমোলে শরীরে কী হয়
advertisement
তিনি জানান, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা, উদ্বায়ী জৈব যৌগ এবং অন্য বায়ুবাহিত দূষিত পদার্থ কনজাংটিভাইটিস ঘটাতে পারে। তার ফলে চোখে লালভাব, জ্বালা, চোখের মধ্যে একটি তীব্র সংবেদন দেখা দিতে পারে।
উচ্চ AQI মাত্রা এবং বায়ু দূষণের ফলে কনজাংটিভাইটিসের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন চুলকানি, আলোয় সমস্যা হতে পারে। চোখে জ্বলন হতে পারে বা লালভাব।
আরও পড়ুন: রোজ যত খুশি হাঁটলে উল্টে শরীরের ক্ষতি! বয়স অনুযায়ী হাঁটার পরিমাণ আলাদা, কতটা হাঁটবেন জানুন
ম্যাক্স মাল্টি স্পেশালিটি সেন্টার-এর আই কেয়ার বিভাগের প্রিন্সিপাল কনসালটেন্ট, ডা. দীপালি গর্গ মাথুর জানান, দূষণের ফলে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসও হতে পারে। চোখ ঘষাঘষির ফলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ বায়ুদূষক কনজাংটিভাইটিস সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে সালফার-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড, ধূলিকণা এবং উচ্চ ওজোন থাকতে পারে। এর ফলে শুষ্ক চোখের মতো ক্রনিক রোগও তৈরি হতে পারে। এমনকী অ্যালার্জিতেও হতে পারে দূষণ থেকে। আবার যাঁদের এই প্রবণতা রয়েছে, তাঁদের উপসর্গও বেড়ে যেতে পারে।’
বায়ুদূষণ থেকে চোখের নানা রকম সমস্যা হতে পারে, তাই চোখকে রক্ষা করতে চশমা ব্যবহার করা যেতে পারে। অপ্রয়োজনে বাইরে না ঘোরাই ভাল। সব থেকে বড় বিষয় হল দূষণ রোধে মানুষের সচেতনতা আশু প্রয়োজন। না হলে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়বেই।