শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে পাট শাক ম্যাজিকের মতো কাজ করে। বিপাক ক্ষমতা বাড়ায়। পিউরিন হজম করতেও কার্যকর। উল্লেখ্য, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা বা প্রদাহের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
পাট শাকে পুষ্টি উপাদান: হেলথলাইন অনুসারে, এই শাক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, সি ইত্যাদির মতো অনেক রোগ প্রতিরোধক এবং হাড়ের সহায়ক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এছাড়া ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, পটাসিয়াম, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এটা স্যুপ করে, হালকা ভেজে, তরকারির সঙ্গে কিংবা স্মুদি বা স্যালাড হিসেবে খাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন– রাশিফল ৪ মার্চ – ১০ মার্চ; দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে: গরমকালে পাটুয়া শাক সবচেয়ে উপকারী। ইউরিক অ্যাসিডের মহাষৌধ। প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ব্যথা, ফোলা, বাত এমনকী, কিডনিতে পাথর পর্যন্ত হতে পারে।
শাকের উপকারিতা: হেলথলাইন ডটকমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাটুয়া শাক প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন, যা কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে বাঁচায়। লিভারে প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব ফেলতে এর জুড়ি নেই।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। অক্সিডেটিভ ক্ষতি অনেক গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে।
ইউরিক অ্যাসিড প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এক্ষেত্রে সবুজ শাকসবজি সবচেয়ে উপকারী। যাঁরা উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদেরও গরমকালে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে পাতে পাটুয়া শাকও রাখতে হবে। বাংলা, বিহার এবং পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পাটুয়া শাকের চাষ হয়। পেটের সমস্যাতেও এটা সমান কার্যকরী।
এই সবজিটি মেটাবলিজম বাড়ায়, যা প্রোটিন হজমে সাহায্য করে। এটি শরীরের পিউরিন ভেঙে ফেলতেও কার্যকর।