আর এখানেই ব্যাপক হারে বিক্রি হয় এই পাশবালিশ মিষ্টি। মিষ্টি ব্যবসায়ী স্বপন মোদক জানিয়েছেন, “এই মিষ্টির ভাল চাহিদা রয়েছে। নাম রেখেছি পাশবালিশ মিষ্টি। ব্যাপক হারে বিক্রি হয়। ৫০০ টাকা দামের মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে। অর্ডার দিলে ১০০০ টাকা দামেরও বানিয়ে দেব। লক্ষাধিক টাকার মিষ্টি বিক্রি হয় এই মেলায়।”শ্রীখণ্ডের বড়ডাঙায় এই মেলায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকান। তবে সেই দোকানগুলিতে এই বিশালাকার মিষ্টি পাওয়া যাবে না। মেলার একটু ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। তারপর চোখে পড়বে বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকান। এবং সেই দোকানগুলিতেই মিষ্টির পশরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বিভিন্ন মিষ্টির মধ্যে নজর কাড়ছে বিশালাকার পাশবালিশ মিষ্টি। মেলাতে উপস্থিত বহু মানুষ একবার হলেও দাঁড়িয়ে দেখছেন এই মিষ্টি।
advertisement
মিষ্টির যা আকার তা দেখলে সত্যিই যে কেউ হকচকিয়ে যাবেন। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা দামের মিষ্টিও পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতাদের তরফে আবার প্লাস্টিকের বড় কৌটোর ব্যবস্থাও করা আছে ক্রেতাদের জন্য। অর্থাৎ এই মিষ্টি পার্সেল করেও নিয়ে যাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ এই মিষ্টি কেনার জন্য ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। দূরদূরান্ত থেকেও অনেকেই ছুটে আসছেন শুধুমাত্র মিষ্টির টানে। কাটোয়া থেকে এই মেলায় মিষ্টি কিনতে এসে সাজিত জানিয়েছেন, “মিষ্টি কেনার জন্যই এই মেলায় এসেছি। এত বড় মিষ্টি দেখে সত্যিই অবাক হচ্ছি। তবে প্রতিবছর এই মেলায় মিষ্টি কেনার জন্যই আসি।”
মিষ্টির আকার এতটাই বড় যে একজনের পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়! ছানা, খেজুর গুড় এবং চিনি দিয়ে এই মিষ্টি তৈরি করা হচ্ছে। আরও বেশ কয়েকদিন এই মেলা চলবে। বিক্রেতাদের কথায় এই মেলায় সবমিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়।