পেঁপেগাছের পাতায় প্রচুর পরিমাণে প্যাপাইন এবং কাইমোপ্যাপাইন উৎসেচক আছে৷ পরিপাক ক্রিয়া উন্নত করতে অত্যন্ত উপযোগী এই দুই উৎসেচক৷ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাটের মতো উপাদানকে ভাঙতে সাহায্য করে এই দুই উৎসেচক৷ পুষ্টিবিদ বিধির মতে পেঁপেপাতার উৎসেচক হজম সংক্রান্ত গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে৷ পরিপাক সংক্রান্ত অস্বস্তি দূর করে৷
পেঁপেপাতায় আছে ফাইটোকেমিক্যাল৷ ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যালকালয়েডের প্রভাবে শরীর থেকে টক্সিনজাতীয় জিনিস দূর করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ঘটে৷ এর জেরে সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে৷ ডায়েটরি ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকায় পেঁপে পাতার গুণে দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য৷ পেটের স্বাস্থ্য ভাল রেখে মসৃণ হয় পরিপাক৷ অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি উপাদান থাকার ফলে পেটের আলসার, ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রিত হয় পেঁপেপাতার রসে৷
advertisement
তবে একটা ধারণা প্রচলিত যে পেঁপেপাতার গুণে ডেঙ্গির মতো অসুখে শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ে৷ এই ধারণার কিন্তু কোনও প্রামাণ্য তথ্য নেই৷ বলছেন পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকরা৷ তাছাড়া ডায়েটে পেঁপেপাতার রস যোগ করতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের মত নিতে হবে৷ কারণ অন্যান্য খাবারের মতো এরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে৷ তাই পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয়৷