আরও পড়ুনঃ খেতে ভাল না লাগলেও, সজনে ডাটা বহু মারণরোগ থেকে রেহাই দেয়! জানতেন?
চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি বিকল্প চিকিৎসাপদ্ধতি নামে পরিচিত। দেশে ও বিদেশের নানা স্থানে-এর প্রচলন দেখা গিয়েছে। বুন্দেলখণ্ডের সাগর ও দামোহ, সাগর জেলার হাটা, বাটিয়াগড়, পাথারিয়া এবং গাধাকোটার গ্রামীণ এলাকার অনেক জায়গায় এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
advertisement
তথ্য অনুযায়ী, এই চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো। এই পদ্ধতিতে মৌমাছির হুলের মাধ্যমে বি-ভেনম সরাসরি শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এর পরে নির্গত বিষ বাত রোগের চিকিৎসায় খুবই কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এই মৌমাছির হুল হাঁটু ব্যথা, কোমর ব্যথা, মাইগ্রেন, সায়াটিকার মতো বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
রাজকুমারী সরফ ইটারসি গ্রামের বাসিন্দা, তিনিও এই থেরাপির মাধ্যমে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এই থেরাপি অনেক রোগ থেকেই উপশম দেয়। আগে এই গ্রামগুলিতে রাজকুমারীর মতোই এমন অনেক মানুষ ছিলেন যাঁরা হাঁটুর ব্যথার কারণে হাঁটতে পারতেন না। খানিকটা দূরত্বে হাঁটতে হাঁটতে তাঁদের পায়ে অনেক ব্যথা হত, কিন্তু এখন তাঁদের ব্যথার ৯০ শতাংশ পর্যন্ত উপশম হয়ে গিয়েছে। রাজকুমারী জানিয়েছেন, এখন মাঝে মাঝে মনে হয় তিনি ব্যথা পাচ্ছেন, আবার মাঝে মাঝে মনে হয় কোনও ব্যথা নেই, তবে ব্যথা যে আগের তুলনায় কমেছে এতে কোনও সন্দেহ নেই।