আরও পড়ুন- সাধারণ উপকরণের এই পানীয়গুলিতে চুমুক দিন, ওজন কমবে চোখের নিমেষে
চুলে যথাযত পুষ্টি প্রদান, নিয়মমাফিক যত্ন নেওয়া অবশ্যই চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে দ্রুত এবং নিয়মিত চুল পড়াও কমে। তবে তার আগে চুল পড়া সম্পর্কে কিছু প্রচলিত মিথ রয়েছে, তা জেনে নিতে হবে এবং মন থেকে দূর করতে হবে।
advertisement
মিথ ১: খুশকি চুল পড়ার অন্যতম কারণ
এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে খুশকি এবং চুল পড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে কেউ যদি খুশকির কারণে জোরে জোরে মাথা আঁচড়ান তাহলে কিন্তু চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খুশকির কারণে সরাসরি চুল না পড়লেও এটি চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। খুশকি মাথার ত্বককে শুষ্ক করে তুলে চুলকানির অবস্থায় নিয়ে যায়, তবে এর ফলে সবসময় চুল পড়ে না। শুষ্ক এবং চুলকানিযুক্ত স্কাল্পকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনা চিকিৎসায় রেখে দিলে তবেই চুল পড়ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
মিথ ২: প্রতিদিন বা ঘন ঘন শ্যাম্পু করার ফলে চুল পড়ে
এ কথা জনপ্রিয় হলেও তা ভুল। ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এমনটা ঠিক নয়। নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল না ধুলে চলের গোড়ায় ময়লা এবং খুশকি জমে গিয়ে আরও হেয়ারফলের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করলে যদি অতিরিক্ত চুল পড়ে তাহলে শ্যাম্পু পরিবর্তন করা উচিত। চুলের জন্য যে কোনও একটি হালকা শ্যাম্পু নির্বাচন করা উচিত।
মিথ ৩: জোরে তেল মালিশ করে চুল পড়া কমানো যায়
মাথার নিয়মিত তেল মালিশ আমাদের স্ট্রেসকে কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত তেল মাসাজ চুল পড়ার উপর কোন প্রভাব ফেলবে না। শুধু জোরে জোরে মাসাজ না করাই ভালো কারণ তাতেই চুল উঠে যেতে পারে, মাসাজ করতে হবে হালকা হাতে।
আরও পড়ুন- রূপচর্চার এই নিয়মগুলো প্রতিদিন মেনে চললেই কেল্লা ফতে! ত্বক হবে ঝকঝকে ও উজ্জ্বল!
মিথ ৪: কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল পড়ে
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল পড়ে যায়; আসলে এটিও একটি মিথ! কন্ডিশনার ব্যবহার চুলকে মোলায়ম করে যাতে চুল কম ভাঙে। কন্ডিশনারের অত্যধিক ব্যবহার চুলের ওজন কমিয়ে দিতে পারে, কিন্তু এটি বৃদ্ধিতে বাধা দেয় না।
মিথ ৫: বাজারজাত প্রোডাক্টের কারণে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়
এটি আংশিকভাবে সত্য কারণ বেশিরভাগ বাজারজাত পণ্যে রাসায়নিক থাকে যাতে চুল ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে সঠিক প্রোডাক্ট বেছে নিলে দুশ্চিন্তার কারণ থাকে না।