ধুলিয়ানের কাঞ্চনতলা গঙ্গাঘাটে রাজীব মহলদারের দোকানে রয়েছে খেজুরের গুড় দিয়ে ‘ধামাকা চা’। আর সেই চা খেতে ভিড় জমেছে মানুষজনের। এবার চায়ের স্বাদকে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য ভাল চা পাতার পাশাপাশি, চিনি বাদ দিয়ে গুড়ের ব্যবহার করছেন মুর্শিদাবাদের অনেক চায়ের দোকানদার। ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা গঙ্গা ঘাটের খেজুর গুড়ের চাকি ভেঙে, তৈরি হচ্ছে চা। সেই চাকে মাটির ভাঁড়ে পরিবেশন করছেন গ্রাহকদের। এক চুমুকেই যেন অমৃত। সত্যি কথা বলতে গেলে কোন তুলনা হয় না। আর চা বিক্রি হচ্ছে ভাঁড় পিছু দশটাকা হিসেবে।
advertisement
মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের ধুলিয়ান কাঞ্চনতলা গঙ্গা ঘাটের চা বিক্রেতা রাজিব মহালদারের দাবি, শীতের ছয় মাস এই গুড়ের চা বিক্রি করা হয়। উন্নত মানের খেজুর গুড় মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে নিয়ে আসা হয়। যত শীত পড়ে তত গুড়ের টেস্ট বাড়ে। যে পদ্ধতিতে চা বানানো হয় তা হল প্রথমে এক প্যাকেট গরুর দুধ জ্বাল দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ ফোটানোর পর চা পাতা ও চা ঘন করার জন্য একটু গুঁড়ো দুধ মেশানো হয়ে থাকে। তার পর খেজুর গুড়ের চাকি (পাটালি) থেকে ছুরি দিয়ে ছোট ছোট করে গুড়গুলোকে কেটে নেওয়া হয়। যেমন যেমন চা ফুটতে থাকে, আস্তে আস্তে গুড়গুলো মিশিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে চায়ে। তার পর সেটাকে মাটির ভাঁড়ে পরিবেশন করা হয়।
গ্রাহকরা জানিয়েছেন, দাম মাত্র ১০ টাকা কাপের সাইজও বড়, টেস্টের তো কোনও তুলনাই হবে না। তাঁরা বলেন, ‘‘প্রতিদিন বাসুদেবপুর থেকে আমরা রাজীবের দোকানে এই সুস্বাদু গুড়ের চা খেতে আসি।’’ শীত পড়তেই তুলনামূলকভাবে চাহিদা বেড়েছে গুড়ের চায়ের, যার স্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে ধুলিয়ান কাঞ্চনতলায় আসছেন গ্রাহকরা।
তবে গুড়ের চা খেলে শরীর ভাল থাকে। চিকিৎসকেরা জানান, শীতকালে তো নানা অসুখ-বিসুখ লেগেই আছে। নিজেকে সুস্থ রাখতে ভরসা রাখতে পারেন গুড়ের উপর। কারণ গুড়ে আছে আয়রন, জিঙ্কের মতো উপাদান। সুস্থ থাকতে এগুলি অত্যন্ত জরুরি। গুড় চায়ের সঙ্গে যদি খানিকটা আদা মিশিয়ে দিতে পারেন, তাহলে সংক্রমণ এবং অ্যালার্জির সমস্যাও দূরে থাকবে।