গ্রীষ্ম এবং বর্ষায় মশার উৎপাত বাড়ে। শুধু তো কামড়ানো নয়, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার ভয়ও আছে। তবে ধূপ, কয়েল কাজ না করলেও এক ধরনের উদ্ভিদ রয়েছে, মশার একেবারে যম। দক্ষিণ ভারতের রাঙ্গা রেড্ডি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে এই উদ্ভিদ পাওয়া যায়। আঞ্চলিক নাম ‘দাভানাম’। বৈজ্ঞানিক নাম ‘Artemisia Indica’। এই গাছ বাড়িতে থাকলে, মশা ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: টনসিলের ব্যথা-সর্দি-কাশি কমাতে ওস্তাদ! স্বাদেও অপূর্ব এই পাতার ভর্তা; রইল রেসিপি
‘দাভানাম’ ছোট্ট গাছ। সুগন্ধিযুক্ত ভেষজ উদ্ভিদ। দেখতে বুনো গাছের মতো। সুন্দর হলুদ ফুল ফোটে। পাতাগুলো বাদামি। একনজরে দেখলে মনে হবে তুলসি গাছ। দাভানাম উদ্ভিদ দুরকমের হয়। একটা আকারে ছোট, তাড়াতাড়ি ফুল আসে। অন্যটা আকারে বড়, ফুল আসতে দেরি হয়। তবে কাজে দুটোই সমান। এর পাতা এবং ফুল থেকে এসেনসিয়াল অয়েল তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: উৎসব অফারে অমৃত মহোৎসব FD স্কিমে সুদের হার বাড়াল IDBI ব্যাঙ্ক, আজই বিনিয়োগ করুন
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে, বিশেষ করে কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। অনেকে একে ‘আর্টেমিসিয়া প্যালেনস’ নামেও চেনেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চিন, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, কোরিয়াতেই মূলত পাওয়া যায়। রিউকিউয়া দ্বীপপুঞ্জ এই ধরনের উদ্ভিদে ভর্তি। কানহা শান্তি বনমের রেন ফরেস্টে ব্যাপক হারে এই উদ্ভিদের চাষ করা হচ্ছে।
এই উদ্ভিদ শুধু মশা তাড়ায় তাই নয়, বহু চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়। ঔষধি গুণে ভরপুর। খিদে বাড়াতে এই পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্নায়বিক, খিঁচুনি রোগের চিকিৎসায়, হাঁপানি এবং মস্তিষ্কের রোগে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়া, আমাশয় এবং পেটের ব্যথা নিরাময়েও কার্যকরী। কাটা, ছড়া বা কোনও ক্ষতে পাতার পেস্ট লেপে দেওয়া হয়। এর শিকড় কিডনির জন্য অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে।