সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে এই নেগেটিভ ইমোশনের উৎস লুকিয়ে আছে শৈশবে (Childhood)। ছোটবেলায় স্কুলের পড়াশোনার চাপ আর স্ট্রেস (Stress) থেকেই মনডে মর্নিং ব্লুজ দেখা যায়।
আসলে বাড়ির আরাম ছেড়ে একটা অন্য পোশাকে অফিস যাওয়া মনের মধ্যে এক প্রকার অস্থিরতা তৈরি করে। মানুষের স্বভাবই হল চেনা পরিস্থিতিতে, চেনা লোকজনের মধ্যে থাকা। সেটার অন্যথা হলে মন সেটা মেনে নিতে চায় না। আর এই রকমের অচেনা পরিবেশে যাওয়া শুরু হয় আমাদের স্কুল জীবন থেকে। সেখানেও প্রথমবার বাবা-মায়ের হাত ছেড়ে, চেনা পরিবেশ ছেড়ে অন্য একটা অচেনা জায়গায় যেতে হয়।
advertisement
এমনিতে স্কুলে গিয়ে শিশুরা ধীরে ধীরে মানিয়ে নেয়। লাইব্রেরির বই, খেলার মাঠ আর বন্ধুদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ গড়ে ওঠে। কিন্তু স্কুলে নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়, সেটা ভঙ্গ করলে শাস্তিও পেতে হয়। এটা শিশুরা সহজে মেনে নিতে পারে না। আর ছোটবেলার সেই স্মৃতিই সোমবার অফিস যাওয়ার সময় ফিরে আসে।
স্কুলে চারদেওয়ালের মধ্যে যেমন লাগত, কাঠের বেঞ্চ আর কালো ব্ল্যাকবোর্ড মস্তিষ্কের কোষে দৃশ্যের মতো জমা থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা পাল্টে গিয়ে হয়ে যায় ছোট ছোট কিউবিকল, ডেডলাইন আর প্রোজেক্টের চাপ।
যাঁরা কোনও পত্রিকা বা খবরের কাগজের সম্পাদক, সাংবাদিক, যাঁরা শিক্ষক, অ্যাকাউন্টটেন্ট, আইটি পেশার সঙ্গে যুক্ত, সার্জেন, নার্স এঁদের সবারই খুব
পেশাগত চাপ থাকে। একজন ছাত্রের সঙ্গে একজন শিক্ষককেও নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলতে হয় স্কুলের মধ্যে। আবার একজন চিকিৎসক বা নার্স যদি সামান্য ভুল করেন, তা হলে কারও প্রাণহানি হতে পারে। একই প্রকার ঝুঁকি অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রেও আছে।
অনেকেরই ছোটবেলায় স্কুলের স্মৃতি সুখকর নয়। তাঁরা যে কাজ করেন সেটাও হয় তো তাঁদের পছন্দ নয়। ফলে একটা বিশ্রী খারাপ লাগা থেকেই যায়। সব মিলিয়ে উইকেন্ডের পর সোমবার এলেই সেটা তাঁদের কাছে বিভীষিকা হয়ে দাঁড়ায়।