অধ্যাপক বিবেক শর্মা আমাদের জানিয়েছেন যে, ‘নাসা হি শিরসো দ্বার’, এই বিষয়টি আয়ুর্বেদে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। এর মানে হল আমাদের নাক আমাদের মস্তিষ্কের পথ। তাই নাকের সাহায্যেই দিয়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধ দিয়ে মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসা করা যায়। আয়ুর্বেদিক পঞ্চকর্ম চিকিৎসায় ৫ প্রকার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। আমাদের শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের একটি প্রক্রিয়া হল বমন (মেডিকেটেড এমেসিস), বিরেচন, নাস্য, কষায় বস্তি (এনিমা) এবং স্নেহা বস্তি (এনিমা)।
advertisement
নাস্য থেরাপি হল একটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি, এতে ওষুধকে নাকের মাধ্যমে শরীরে পৌঁছে দেওয়া হয়। সাধারণত এই আয়ুর্বেদিক ওষুধের মধ্যে রয়েছে দেশি ঘি, বিভিন্ন ধরনের তেল এবং ক্বাথ। এই থেরাপি কান, নাক এবং গলার ব্যাধিতে বিশেষ ভাবে সহায়ক। এটি ঘাড়ের উপরের অংশের রোগের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী। শিরোলেপ এবং শিরোধারা সব ধরনের মাইগ্রেন রোগীদের জন্য জনপ্রিয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা। শিরোলেপ হল ক্ষতিগ্রস্চ স্থানে কর্পূর, চন্দন, জটামাংসি এবং আরও অনেকগুলি কার্যকর ভেষজ পেস্টের প্রয়োগ। শিরোধারা হল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মাথার ত্বকে পাতলা থেকে ঘন তরলের একটি স্রোত ঢালা। এগুলি মাইগ্রেনের জন্য সেরা আয়ুর্বেদিক ভেষজ। আয়ুর্বেদে উপস্থাপিত কিছু প্রাচীন ভেষজ রয়েছে যা রোগীকে মাইগ্রেন থেকে ১০০ শতাংশ উপশমের গ্যারান্টি দেয়। এর মধ্যে বালা, কুমারী, মল্লিকা, আমলকি, সারিভা, যষ্টিমধু, হরিতকি এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে।
এই বিষয়গুলি এড়িয়ে চলা উচিত
অ্যালকোহল, ক্যাফিন, পেঁয়াজ, মটরশুটি, বাদাম, ক্ষুধা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং আরও অনেক কিছু মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে, এমন জিনিসগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।