নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ রোজ খাওয়া, অ্যালকোহল এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন ইনটেক মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম এবং তীব্র শারীরিক পরিশ্রম মাইগ্রেনের আক্রমণকে আরও ঘন ঘন করে তুলতে পারে। নির্দিষ্ট গন্ধ বা সুগন্ধি, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও মাইগ্রেনের আরও কিছু সাধারণ কারণ।
অতএব, লাইফস্টাইলে যদি কিছু বদল আনা যায়, তাহলে তা মাইগ্রেনের ব্যথা উপশমে অনেকাংশে কার্যকর হয়, সেগুলো কী এক এক করে দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
শান্ত পরিবেশে বিশ্রাম
যত তীব্রই হোক না কেন, মাইগ্রেনের ব্যথা হলে সঠিকভাবে বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু চোখ আলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, তাই অন্ধকার, শান্ত ঘরে থাকতে হবে। যদি ব্যথার কারণে বমি হয়, তাহলে জলশূন্যতা রোধ করার জন্য বেশি করে জল খেতে হবে। পেশিতে টান ধরা উপশমের জন্য মাথা বা ঘাড়ে গরম বা ঠান্ডা কম্প্রেস দিলে আরাম লাগবে। বিশেষ করে আইস প্যাক অসাড়তা সৃষ্টি করে ব্যথার ভাব কমাতে পারে।
ভাল ঘুম
রাতে অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম দরকার। একই সঙ্গে, দিনের বেলায় ঘুমানো চলবে না। তাহলে, তা রাতের ঘুমকে প্রভাবিত করতে পারে। ঘুমোনোর আগে মেডিটেশনাল মিউজিক শোনা এবং বই পড়া তাড়াতাড়ি ঘুম আনতে কাজে আসতে পারে।
আরও পড়ুন : ‘পহেলগাঁও’ শব্দের মানে কী? পীরপাঞ্জালের কোলে কাশ্মীরের এই পাহাড়ি গ্রামের এরকম নাম হল কেন? জেনে নিন
চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
মাইগ্রেন এবং মানসিক চাপ একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলে। দৈহিক শক্তির অভাব অনুভব করলে দ্রুত হাঁটাচলা আরাম দিতে পারে। গভীর এবং ধীর শ্বাস-প্রশ্বাসও শরীর শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত ওয়ার্কআউট
ব্যায়ামের সময়ে শরীর কিছু রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা মস্তিষ্কের কোষে ব্যথার সংকেত পৌঁছতে বাধা দেয়। এটি উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কমাতেও সাহায্য করে, যার থেকেও অনেক সময়ে মাইগ্রেনের ব্যথা হয়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
মাইগ্রেন থাকলে খাবার স্কিপ করা কখনই উচিত নয়, কারণ খালি পেট থেকেও ব্যথা হতে পারে। পাশাপাশি, পুরনো পনির, চকোলেট এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলা উচিত, এগুলো ব্যথা বাড়িয়ে তোলে।