ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ:
বলে রাখা ভাল যে, এই উদ্ভিদটি ভেষজ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। আর এই গাছের ফল এবং ফুল অনেক রোগের চিকিৎসায় দারুণ উপকারী। Local 18-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় ডা. কল্পেশ ইশনাভা বলেন যে, “এই গাছগুলি সেই সব জায়গায় জন্মায়, যেখানে মাটি আর্দ্র এবং জলে ভরা। বিশেষ করে গুজরাতের কচ্ছ অঞ্চলে পাওয়া যায় এই উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Coix Lacryma-Jobi এবং এটি ঘাসের শ্রেণীতে পড়ে। এই গাছগুলির উচ্চতা প্রায় ১২০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার। আর এই গাছে লম্বা লম্বা পাতা দেখা যায়। অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই গাছে ফুল-ফল ধরে।
advertisement
আয়ুর্বেদিক দিক থেকে খুবই উপকারী:
ডা. কল্পেশ ইশনাভা বলেন যে, এই গাছটি আয়ুর্বেদিক দিক থেকে খুবই উপকারী। বিশেষ করে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এই গাছের ফলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আবার ফুসফুসের রোগের জন্যও দারুণ উপকারী এই গাছ। ফুসফুসে প্রদাহ কিংবা কোনও রোগ হলে এই গাছের ফলের রস পান করলে উপকার পাওয়া যায়। এটি প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রেও উপকারী। এছাড়াও অ্যান্টি-ভাইরাসধর্মী গুণ থাকার কারণে এর রস পান করা উচিত।
গিলয়ের মতোই এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:
বৈজয়ন্তী মালা বা মুক্তো গাছ একটি ইমিউন মডুলেটর। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর পাশাপাশি এটি ত্বকের জন্য উপযোগী ক্রিম বানাতেও ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক ক্রিমগুলির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এটি। এর নির্যাস লাগালে ত্বকের ভাল হয়। এছাড়া এই গাছ ব্যবহার করে তৈরি স্যুপ পান করলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। কারণ তা পুষ্টিগুণে ভরপুর। বিশেষ করে এই উদ্ভিদ থেকে চা ওয়াইনও তৈরি করা হয়। কারণ এর মধ্যে ভাল পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ভিটামিন থাকে, যা শরীরের জন্য উপকারী।
বৈজয়ন্তী মালা উদ্ভিদের উপকারিতা:
শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই:
বৈজয়ন্তী মালা উদ্ভিদটি ফুসফুস সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর। এই গাছের ফল ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগের চিকিৎসাতেও বেশ উপকারী।
প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক:
এই গাছটি একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে। যা কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে জল ধারণ কমায়।
অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি:
গিলয়ের মতো এই উদ্ভিদটি ইমিউনিটি বুস্টার হিসাবে কাজ করে এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। যার ফলে দেহ সংক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।
ত্বকের স্বাস্থ্য:
এই উদ্ভিদের নির্যাস আয়ুর্বেদিক ক্রিমগুলিতে ব্যবহৃত হয়, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসায় কার্যকরী।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ:
এর স্যুপ বা চা খেলে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ভিটামিন-সহ গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য:
এই গাছের ফলগুলি অ্যান্টি-ভাইরাল গুণাগুণে সমৃদ্ধ। যা ভাইরাল সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
