আর ভালোবাসার এই উৎসবই হয়ে উঠতে পারে উপার্জনের উপায়। জুটিরা সব সময়েই চান বিশেষ কিছু করতে একে অপরের জন্য, সব প্রতিষ্ঠান সেই সুযোগ দেয় না। কীভাবে সেই সুযোগ দিয়ে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে পাকাপাকি ভাবে নিজের জায়গা করে নেওয়া যায়, দেখে নেওয়া যাক কিছু নতুন রকমের ব্যবসার সূত্রে।
লেখালিখি
কনটেন্ট রাইটিংয়েরই এ এক অন্য রূপ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে স্রেফ ঢাক একটু জোরে পেটাতে হবে, নিয়মিত প্রচার চালিয়ে যেতে হবে। জুটিদের জানাতে হবে যে তাঁদের মনের কথা কবিতায় লিখে দেবে এই প্রতিষ্ঠান। বা সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে দেবে একটা ভালোবাসার চিঠি। লেখা একটা টেমপ্লেটে ফেলে পিডিএফ করে পাঠিয়ে দিতে হবে ক্লায়েন্টকে। তিনি চাইলে প্রিন্ট আউট করাবেন, না চাইলে ভালোবাসার গোপন কথা থাকবে শুধু দুজনের মধ্যেই, পাঁচকান হবে না।
advertisement
ফুলের সাজ
শহরের অনেক দোকানই ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে ফুলের পসরা সাজিয়ে বসবে। এখানে আনতে হবে একটু সৃজনশীলতার ছোঁয়া। অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে সরাসরি ক্লায়েন্টকেই জিজ্ঞাসা করে নেওয়া যেতে পারে তিনি কেমন ভাবে ফুল চাইছেন। কাস্টমাইজেশনের বাজার সচরাচর মার খায় না। রাখা যায় কিছু অভিনব জিনিসও। ফুলের একটা আংটি, ফুল দিয়ে তৈরি ফটোফ্রেম বা লাল গোলাপের নেকলেস- বাজারে আসতে না আসতেই ফুরিয়ে যাবে।
তোর নাম
এই ব্যবসাও পার্সোনালাইজেশন আর কাস্টমাইজেশনেরই এক আদল। ফুলের বদলে এখানে থাক হাতে তৈরি চকোলেট। তার আকারে যেমন অভিনবত্ব আনা যেতে পারে, তেমনই সাদামাটা চকোলেট বারকেও করে তোলা যায় এক লহমায় স্পেশ্যাল। কীভাবে? খুব সহজে। স্রেফ সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে এই কথা- চকোলেটের ওপরে সুন্দর নকশায় লিখে দেওয়া হবে ক্লায়েন্টের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর নাম। সঙ্গে থাক চকোলেটের ছবিও। টানে পয়সা আসবেই, দম ফেলারও ফুরসত থাকবে না ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে।