অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট :
লিচুবীজের নির্যাসে রয়েছে পলিফেনল, ফ্ল্যাভনয়েড, প্রোয়ান্থোসায়নাইডসের মতো অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট৷ ফলে শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে৷ একইসঙ্গে দূরে থাকে মধুমেহ, হৃদরোগ, ক্যানসারের মতো জটিল রোগের আশঙ্কা৷
ত্বকের যত্ন :
প্রচুর পরিমাণে পলিফেলন থাকায় লিচুবীজ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী৷ টান টান ভাব বজায় রেখে ত্বকের হাইড্রেশন ধরে রাখে লিচুর বীজ৷ ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না৷ ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রেখে বজায় রাখে তারুণ্য৷
advertisement
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
লিচুবীজের গুণে নিয়ন্ত্রিত থাকে কোলেস্টেরল৷ ফলে দূরে থাকে হৃদরোগের আশঙ্কাও৷
অ্যান্টি ডায়াবেটিক
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে লিচুর বীজে রয়েছে অ্যান্টি ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য৷ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই ফলের বীজ৷
কীভাবে খাবেন
লিচুবীজের নির্যাস সাপ্লেমেন্ট হিসেবে পাওয়া যায়৷ ক্যাপসুল বা পাউডার ফর্মে কিনতে পারেন৷ তার পর সেটি যোগ করতে পারেন ডায়েটে৷
বাড়িতে রোদে শুকিয়ে লিচুবীজের গুঁড়ো করে নিতে পারেন গ্রাইন্ডার বা ব্লেন্ডারে৷ তার পর সেটি মেশাতে পারেন স্মুদি বা ইয়োগার্টে৷ ব্যবহার করতে পারেন সিজনিং হিসেবেও৷
ক্ষতিকর দিক
কিছু সমীক্ষা ও গবেষণায় দাবি, লিচুবীজ মোটেও শরীরের জন্য উপকারী নয়৷ কারণ এতে আছে প্রাকৃতিক টক্সিন৷ তাছাড়া লিচুর বীজে থাকা নির্দিষ্ট কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা৷ হতে পারে ব্রেন ইনফ্লেম্যাশনও৷ তাই বিপদ এড়াতে খেতে হবে কমমাত্রায়৷ এবং অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে৷ কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়াই যাবে না লিচুবীজের গুঁড়ো৷