TRENDING:

গভীর রাতেও স্ন্যাক্স না হলে চলে না? এর জেরেই কিন্তু গণ্ডগোল হয় অফিসে, বলছে নয়া সমীক্ষা!

Last Updated:

অ্যাপলায়েড সাইকোলজির উপর প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, রাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা পরের দিন সকালে প্রভাব ফেলতে পারে কাজে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নর্থ ক্যারোলিনা: কথায় আছে, লাইফস্টাইল বলে দেয় আপনার স্বাস্থ্য কেমন থাকবে। খাওয়া-দাওয়া, ঘুমের অভ্যাস, চলা ফেরা, এই সব কিছুর উপর নির্ভর করে একজন মানুষ কেমন থাকবে এবং তার শরীর কত দিন ভালো থাকবে। তাই লাইফস্টাইলের দিকে নজর দিতে বলেন চিকিৎসকরা। সময়ে খাওয়া-দাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার উপর জোর দেওয়া ইত্যাদি এর মধ্যে পড়ে। কিন্তু এত দ্রুততার জীবনে ও কর্মজীবনের চাপে অনেক সময়ই সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। আর সেখান থেকেই তৈরি হয় একাধিক সমস্য়া। যা দৈহিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে।
advertisement

কাজের তাগিদে, চাকরিরি জন্য অনেককেই বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে হয়। অনেকের আবার এমনিতেও রাত জাগার অভ্যাস আছে। ফলে রাতে একটু স্ন্যাক্স খেয়ে রিফ্রেশ থাকার চেষ্টা করা হয়। আবার অনেক সময়ে অভ্যাসেও অনেকে রাতে খাবার পর স্ন্যাক্স খেয়ে থাকেন। যা শরীরের জন্য ভালো নয়। নয়া সমীক্ষা বলছেন, শুধু শরীরই নয়, এই অভ্যাসের ফলে প্রভাব পড়তে পারে কাজের জগতে। প্রভাব পড়তে পারে পারফরম্যান্সে।

advertisement

অ্যাপলায়েড সাইকোলজির উপর প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, রাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা পরের দিন সকালে প্রভাব ফেলতে পারে কাজে। এবিষয়ে এই সমীক্ষার লেখক ও নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপর সেওংঘি সোফিয়া চো বলেন, প্রথমবারের জন্য আমরাই সমীক্ষায় দেখাই যে স্বাস্থ্য়কর খাবারের সঙ্গে কর্মজীবনের একটা লিঙ্ক রয়েছে।

তিনি আরও জানান, খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি ঘুমের সময়, শরীরচর্চার কাজের উপর প্রভাব রয়েছে। কিন্তু এই ছোট ছোট বিষয়গুলিতে কখনও কেউ আলোকপাত করে না। যার ফলে কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হলে, আসল সমস্যা অনেকেই খুঁজে পান না। চো-এর কথায়, ঘুম বা শরীরচর্চাকেও যদিও কয়েকজন এক্ষেত্রে গুরুত্ব দেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসকে দেন না। যার ফলে এর জন্য সমস্যা অনেক বেশি হয়।

advertisement

বার বার এই সমীক্ষার গবেষকরা দু'টো প্রশ্নের উপর এই সমীক্ষা এগিয়ে নিয়ে যান। একটি, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও খাদ্যাভ্যাস কি আমাদের কর্মক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে? আর দ্বিতীয়টি হল, যদি প্রভাব ফেলে তা হলে কী ভাবে?

এই সমীক্ষার জন্য ৯৭ জন ফুল টাইম কর্মচারীকে বেছে নেওয়া হয় যাঁদের উপর এই সমীক্ষা করা হয়। প্রত্যেকেই আমেরিকা নিবাসী। তাঁদের প্রত্যেককে একটি প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়, যা দিনে তিন বার করে তাঁরা ফিল আপ করেন টানা ১০ দিন। প্রশ্নের তালিকায় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, একই সঙ্গে আবেগ কতটা থাকে কাজের ক্ষেত্রে, সেই নিয়ে প্রশ্ন ছিল।

advertisement

পাশাপাশি সারা দিনের কাজ কেমন গেল এবং বাড়ির ফেরার রাতের খাবারে বা রাতের খাবার সেরে নেওয়ার পর তাঁদের কী খাবার অভ্যাস রয়েছে, কী খান সে সব বিষয়েও জানা হয়।

দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর খাবার পেটের সমস্যা তৈরি করে, সেখান থেকে হজমে সমস্যা হতে পারে। আর এর থেকেই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া বা বিরক্ত লাগা, এমনকি সারাদিন একটা অস্বস্তিবোধও কাজ করতে পারে। যা কর্মক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

ফলে রাতে ভালো খাবার ও সকালে ভালো খাবার, এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
গভীর রাতেও স্ন্যাক্স না হলে চলে না? এর জেরেই কিন্তু গণ্ডগোল হয় অফিসে, বলছে নয়া সমীক্ষা!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল