আসলে রোগ নিরাময়ের অনেক কৌশল আমরা দেখি, যা হয়তো বিজ্ঞান সম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে অনেকটা আলাদা। তেমনই একটি পদ্ধতি হতে পারে ‘সাউন্ড থেরাপি’। বহু শতাব্দী প্রাচীন এই চিকিৎসা পদ্ধতি।
আরও পড়ুন: চটপট রোগা হতে চাইলে সাবধান! অজান্তেই মেদ বাড়ায় এই ৫ পানীয়, জানলে অবাক হবেন
প্রাচীন পদ্ধতি অনুসরণ করে শব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করা হত। বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এর তেমন ব্যবহার নেই। তবে মনে করা হয়, এটি শরীরের নানা ভাবে উপকার করে। কোনও ব্যক্তির যদি মাথাব্যথা, মানসিক অসুস্থতা, স্ট্রেস থাকে, তাহলে সাউন্ড থেরাপি তাঁকে অনেকটা সাহায্য করতে পারে।
advertisement
ভোপালের সাউন্ড থেরাপি—
বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এই সাউন্ড থেরাপি ক্যানসারের মতো বড় রোগও নিরাময় করতে পারে। শব্দ দ্বারা রোগ নিরাময়ের চেষ্টা আসলে একটি কারিগরি চিকিৎসা পদ্ধতি। জার্মানির মতো দেশে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে এর ব্যবহার৷ ভারতেও চালু রয়েছে এই পদ্ধতি। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে সাউন্ড থেরাপি-র সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়।
ভোপালের ‘উইজার্ডস অফ সাউন্ড’-এ সাউন্ড হিলিং করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক ডা. আরতি বলেন যে, শব্দ নিরাময় বা সাউন্ড থেরাপি খুব পুরনো কৌশল। এটি অনেক বড় বড় রোগের নিরাময় করতে পারে। ডা. আরতি মধ্য ভারতের প্রথম এবং একমাত্র সাউন্ড থেরাপিস্ট।
সুবিধা—
শব্দের মাহাত্ম্য নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত রয়েছে। সেই শব্দকে কাজে লাগিয়েই চিকিৎসা করা হয় এই পদ্ধতিতে। এমনকী এর দ্বারা ক্যানসারের মতো বড় বড় রোগও নিরাময় করা যায় বলে বিশ্বাস। আসলে শব্দ মানুষের মন, মেজাজের উপর কার্যকরী প্রভাব ফেলতে পারে। এই শব্দ মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে। তাই সাউন্ড থেরাপি মাথা ব্যথার উপশম করতে পারে। এতে শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরে নতুন শক্তি অনুভব করা সম্ভব হয়। আমাদের কাজের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। সাউন্ড থেরাপিও মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।