আমাদের দেশে কিউই খুব একটা প্রচলিত ফল নয়। তাই অনেকেই এক ফলটি নিয়ে বিভ্রান্ত হন। আমাদের দেশে কিউই সাধারণত সুপার ফুড হিসেবে বিবেচিত হয় না। নরম ও সবুজ রঙের এই ফলটি কিছুটা তেতো ও টক স্বাদের। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিউই খুব জনপ্রিয় ফল না হলেও এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
advertisement
ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ফোলেট এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টিতে ভরপুর, কিউই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। কিউইয়ের ছোট কালো বীজ এবং আঁশযুক্ত খোসাও খাওয়া যেতে পারে। তবে বেশিরভাগ মানুষই কিউই খাওয়ার আগে খোসা ছাড়িয়ে নেন। পুষ্টির দিক থেকে কিউই খুবই পুষ্টিকর। কিন্তু খোসায় থাকা ফাইবার আরও ভাল। পুষ্টিবিদরা বলেন এই কিউই অনেক রোগ নিরাময়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়।
রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যায় কার্যকর: কিউই চর্বি কমাতে সহায়ক। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর। কিউই কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব ছাড়াই রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। অ্যাসপিরিন বেশিরভাগ কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধ বা কমাতে ব্যবহৃত হয়। যা দীর্ঘমেয়াদে অ্যাসিডিটি ও আলসারের মতো রোগ সৃষ্টি করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি কিউই খেলে তা প্রাকৃতিক ভাবে রক্ত পাতলা রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি হার্টকেও সুস্থ রাখে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কিউই উপকারী। এর নিয়মিত সেবনে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়।
হজম শক্তির উন্নতি ঘটায়: কিউই ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফাইবার ছাড়াও, কিউইতে অ্যাক্টিনিডিন এনজাইম রয়েছে যা কার্যকর ভাবে প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরা ভারী খাবারের পরে কিউই খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ, এটি মাংস ও মাছে থাকা প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে। কিউইতে হালকা রেচক জাতীয় পদার্থ থাকে যা পাচনতন্ত্রকে কার্যকরী ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। কিউই দুর্বল পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতে সহায়ক।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে উপকারী: বর্তমানে প্রায় ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনেরই চোখের সমস্যা রয়েছে। এর জন্যেও কিউই খুবই উপকারী। কিউই আমাদের চোখকে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের একটি প্রাথমিক কারণ। একটি গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন তিনটি কিউই খেলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রায় ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়৷ কিউই অত্যন্ত উপকারী কারণ এতে জেক্সানথিন এবং লুটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে৷