জানা গিয়েছে, এই পুজো উপলক্ষে বেলডাঙার মানুষ খুবই উৎসাহিত। বিশেষ করে কার্তিক পুজোর দ্বিতীয় দিন চলে বিসর্জনের শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রাকে বলে ‘কার্তিক লড়াই’। কার্তিক লড়াই কিন্তু কোনও ঝগড়া নয়। কার্তিক লড়াই হল কার্তিক ঠাকুরের বিসর্জনের শোভাযাত্রা, যেমন দেখা যায় দুর্গাপ্রতিমা নিয়ে, কালীপ্রতিমা, জগদ্ধাত্রী বিসর্জনের শোভাযাত্রা কিংবা নবদ্বীপ বা শান্তিপুরের ভাঙা রাসের শোভাযাত্রায়। বেলডাঙার কার্তিক লড়াই ১০০ বছরের বেশি প্রাচীন। অতীতে বেলডাঙায় কার্তিক ঠাকুরের বহু পুজো হত। পরের দিন শোভাযাত্রা করে বিসর্জন দেওয়া হত। কার্তিক লড়াই দেখার জন্য বেলডাঙা-সহ আশপাশের সাধারণ মানুষের ঢল নামে।
advertisement
পুজো কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, কার্তিক মাসের শেষ দিনে এই কার্তিক পুজোর আয়োজন করা হয়, আগামী সোমবার হবে কার্তিক পুজো।পরের দিন মঙ্গলবার হবে কার্তিক লড়াই। দিন-রাত শ’তিনেক ছোট-বড় মূর্তির নিরঞ্জনকে ঘিরে যাবতীয় উন্মাদনা দেখা যায়। বড় মূর্তিগুলির গড় উচ্চতা ১২-১৪ ফুট। সেগুলিকে কাঠামো-সহ বাঁশের মাচায় চাপিয়ে শহরের রাস্তা দিয়ে বাদ্যযন্ত্র-সহকারে শোভাযাত্রা বের হয় যখন তখন তা বাস্তবেই দেখার মতো দৃশ্য। কে-কত ভাল শোভাযাত্রা করল, তা নিয়ে মূলত লড়াই। আর এই কার্তিক লড়াই নজর কাড়ে পর্যটকদের, যা মুর্শিদাবাদ জেলার মানচিত্রে অন্যমাত্রা যোগ করে। কে কোন ঠাকুরকে টেক্কা দেবে মূলত তা নিয়েই এই লড়াই।