জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে কামিকা একাদশীর দিন ভক্তদের এমন কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত যাতে গৃহে সুখ, শান্তি ও ধন-সম্পদ বর্ষিত হবে।
অযোধ্যার বিখ্যাত জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রামের মতে, সাধারণত এক বছরে অনেকগুলি একাদশী উৎসব পালিত হয়। এর মধ্যে একটি হল কামিকা একাদশী। এই দিনে ভক্তরা শ্রীহরি বিষ্ণু ও মাতা লক্ষ্মীকে নিষ্ঠাভরে পুজা করেন। কামিকা একাদশীর দিন বাড়িতে কিছু নতুন দ্রব্য আনলে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায়। ভক্তরা বাস্তু দোষ থেকে মুক্তি পাবেন, ঘরে সুখ শান্তি বজায় থাকবে।
advertisement
ঘরে পঞ্চশঙ্খ আনা
কামিকা একাদশীর দিন যদি কোনও শুভ সময়ে পঞ্চজন্য শঙ্খ নিয়ে আসা হয় তবে এটি কেবল ভগবান বিষ্ণুকে প্রসন্ন করে তাই নয়, ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তিও দূর করে।
বাঁশি
কামিকা একাদশীর দিন যদি গৃহে বাঁশি আনা হয় তবে ভগবান বিষ্ণু খুব প্রসন্ন হন, কারণ ভগবান বিষ্ণুর অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে সর্বদা তাঁর সঙ্গে বাঁশি রাখতেন।
ভগবান বুদ্ধের মূর্তি
যদি বাড়িতে দীর্ঘদিন পারিবারিক অশান্তি বজায় থাকে তাহলে বাড়িতে কামিকা একাদশীর দিন ভগবান বুদ্ধের একটি মূর্তি নিয়ে আসা উচিত।
গদা
জগতের পালনকর্তা ভগবান বিষ্ণু চতুর্ভুজ মূর্তিতে যে অস্ত্র ধারণ করেন তার মধ্যে এক হাতে রয়েছে পদ্ম, দ্বিতীয় হাতে সুদর্শন, তৃতীয় হাতে গদা এবং চতুর্থ হাতে শঙ্খ। গৃহে সুখ-সমৃদ্ধি আনতে এই দিনে ঘরে গদা নিয়ে আশা উচিত।