আসলে গরমের মরশুমে পাতে রাখতে হবে প্রয়োজনীয় কিছু জুস। কারণ এই সমস্ত রস আমাদের দেহের ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেলের মতো জরুরি নিউট্রিয়েন্টের চাহিদা পূরণ করে। এর ফলে চুলের বাড়-বৃদ্ধিতেও তা সহায়ক হয়ে ওঠে। তাই গ্রীষ্মের মরশুমে চুলের যত্নের জন্য সেবন করতে হবে এই সমস্ত রস। বলছন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা।
advertisement
আমলকির রস:
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকির রস কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। চুলের ফলিকল মজবুত করে এবং অকালে চুল পেকে যাওয়াও প্রতিরোধ করতে সহায়ক এই জ্যুস।
গাজরের রস:
গাজরের রসে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ এবং বায়োটিন থাকে প্রচুর পরিমাণে। স্কাল্প সার্কুলেশন উন্নত করে এটি। পাশাপাশি চুলের গোড়াও মজবুত করে গাজরের জ্যুস। সর্বোপরি হেয়ার টেক্সচার উন্নত করে এটি।
পালং শাকের রস:
পালং শাকের রসের মধ্যে আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। পালং শাকের রস হেয়ার ফলিকলে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং হেয়ার ফল বা চুল ঝরে পড়া রোধ করে।
অ্যালোভেরার রস:
অ্যালোভারের রসে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন এ, সি, ই এবং বি১২। স্কাল্পের প্রদাহ কমিয়ে চুলের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এই রস। সেই সঙ্গে চুলের বাড়বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
তরমুজের রস:
তরমুজের জ্যুসের মধ্যে থাকে সাইট্রুলাইন এবং ভিটামিন সি। স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখতে সাহায্য করে এই জ্যুস। সেই সঙ্গে তা চুলকে হাইড্রেট করে এবং জেল্লাদার রাখতেও সহায়ক।