পশ্চিমবঙ্গে উদ্যান পর্যটনের প্রসারে বেলপাহাড়ি ও ঝাড়গ্রাম ব্লককে বেছে নেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা এবার শাল পিয়ালের জঙ্গলের পাশাপাশি ফলের বাগানের সান্নিধ্য উপভোগ করতে পারবেন। ঝাড়গ্রামে হোটেল, রিসর্ট, লজ, হোম-স্টের সংখ্যা ১৭২। ঝাড়গ্রাম ব্লক ও শহরে হোটেল, রিসর্ট, হোম-স্টের সংখ্যা ৬৫। বেলপাহাড়িতে হোম-স্টে ও রিসর্টের সংখ্যা ৫০-এর কাছাকাছি। বেলপাহাড়ির পর্যটন ব্যবসায়ীরা উদ্যান বিভাগের পরিকল্পনায় উৎসাহিত। তারা ফলের বাগান তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। পর্যটক বাড়ায় প্রকৃতির কোলে নতুন-নতুন পর্যটক নিবাসও গড়ে উঠছে।
advertisement
উল্লেখ্য, ভারতের নানা প্রান্তে উদ্যান-পর্যটন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রিসর্ট, লজে ফলের বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে। সেইসব বাগানে বিভিন্ন ঋতুতে এক-এক রকম ফল ধরছে। উৎপাদিত ফল স্থানীয় বাজার-সহ জেলা ও ভীনরাজ্যে রফতানি করা সম্ভব হবে। স্থানীয় মানুষ ফলের ব্যবসা করে বাড়তি উপার্জন করতে পারবেন। জীব বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রেও এই এলাকায় পরিবর্তন আসবে। ফলের গাছে নানা প্রজাতির পাখিদের আনাগোনা বাড়বে। ফলভুক বন্য পশু-পাখির সংখাও বাড়বে। খাবারের অভাবে যে’সব পশুপাখি লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, তারা বাঁচবে।
উদ্যান পর্যটনকে কেন্দ্র করে বন ও বন্যপ্রাণের সংরক্ষণ যেমন হবে, তেমনই পর্যটনের প্রসার ঘটলে এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা বদলে যাবে। শুধু পাহাড়, অরণ্য, নদী নয়, ঝাড়গ্রাম ও বেলপাহাড়ি পর্যটনে এক অন্য রূপেও পরিচিতি লাভ করবে। বেলপাহাড়ি ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র বিধান দেবনাথ বলেন, জেলা উদ্যান দফতরের এই উদ্যোগ অভিনব ও প্রশংসাযোগ্য।
তন্ময় নন্দী