পড়ুয়া সাগ্নিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই জামদানি শাড়িকে কী করে আরও আধুনিক করা যায় সেই চেষ্টা করব আমরা। এটা দিয়ে আরও অন্য কিছু তৈরি করা যায় কিনা সেটাও দেখব। এর উপরে কাজ করে সকলের কাছে তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা প্রথম সামনে থেকে সব কাজ দেখলাম”। শিক্ষক হিসেবে ছিলেন কালনার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী জ্যোতিষ দেবনাথ। তিনি আজও একাগ্র মনোযোগে চালিয়ে যাচ্ছেন পুরানো তাঁত। যখন অনেকেই কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় পাড়ি দিয়েছেন, কিন্তু জ্যোতিষবাবু রয়ে গেছেন নিজের শিকড় আঁকড়ে। তাঁর তৈরি শাড়ি বিদেশেও পাড়ি দেয়। জ্যোতিষ বাবু বলেন, “জামদানি শিল্পকে যাতে নতুন করে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই কারণেই পড়ুয়ারা এখানে এসেছে। জামদানি শিল্পকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছানোই আসল উদ্দেশ্য।”
advertisement
এই শিল্পকে আধুনিক রূপ দিতে পড়ুয়ারা কাজ করছেন নতুন ডিজাইন নিয়ে। কেমন হলে জামদানি আরও বেশি আকর্ষণীয় হবে নতুন প্রজন্মের কাছে? কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরা যায় এই শিল্পকে? এই সবকিছু নিয়ে গবেষণা করছেন পড়ুয়ারা। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অনামিকা দেবনাথ বলেন, “বই থেকে সবকিছু শেখ যায় না। হাতেকলমে শেখানোর জন্যই পড়ুয়াদের নিয়ে এখানে আসা হয়। আর ছাত্র ছাত্রীরা এই জামদানি নিয়ে কাজ করছে এবং আগামী দিনেও করবে।”
বর্তমানে জামদানি যেন হারিয়ে যেতে বসেছে, আগের মত সেই চাহিদা আর নেই। তবুও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের এই ভালবাসা, এই আগ্রহ যদি ঠিকভাবে পথ দেখায়, তাহলে হয়ত আবার ফিরবে জামদানির হারানো দিন। তাঁতিদের মধ্যেও হয়ত বাড়বে জামদানি বোনার চাহিদা।