১৮৮২ সালে সুব্রতবাবুর ঠাকুরদা এই বাড়িটি কেনেন। সেই ঐতিহ্য আজও অক্ষত রেখেছেন সুব্রতবাবুর পরিবার। পেশায় আইনজীবী হলেও বাড়ির প্রতি তাঁর ভালবাসা অসীম। এই বাড়িতেই এক সময় জলপাইগুড়ির প্রথম ‘ডিট রাইটার’-এর বাস ছিল বলেও শোনা যায়। বাড়ির প্রতিটি ইঞ্চিতে ছড়িয়ে রয়েছে অতীতের ছোঁয়া—পুরনো দিনের টালির ছাদ, কাঠের তৈরি ঘর, এখনও সক্রিয় কাঠের ঘানি, যেখান থেকে তৈরি হয় সুস্বাদু সরষের তেল।
advertisement
আরও পড়ুন : অবাক কাণ্ড! মাটি ফুঁড়ে উঠলেন বজরংবলী! রহস্যময় মূর্তি ঘিরে ভক্তদের ঢল
এমনকি বাড়ির আঙিনায় রয়েছে একটি ছোট জলফোয়ারা, আর সকালে ঘুম ভাঙে কবুতরের বকমবকম শব্দে।একটা সময় ছিল, যখন জলপাইগুড়ির বেশিরভাগ ঘরই ছিল কাঠ আর টালির। আজ শহর জুড়ে শুধু ইট-পাথরের রুক্ষতা। অনেকেই পুরনো বাড়ি ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন আধুনিক ফ্ল্যাটে। কিন্তু সুব্রত পাল সেই ইতিহাসকে, সেই শিকড়কে ভালোবেসে আগলে রেখেছেন।শুধু একটি বাড়ি নয়, এটি একটুকরো সময়, একরাশ আবেগ—যা কংক্রিটের জঙ্গলের মধ্যেও প্রাণ জুগিয়ে যায়!