আসলে জল নেতি নাক ও সাইনাস থেকে টক্সিন বের করায় শরীর সুস্থ থাকে। এটি শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, সাইনোসাইটিস এবং শ্বাসযন্ত্রের অ্যালার্জি থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে। মহামারীতে অনেক আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দাবি করেছিলেন যে জল নেতির মাধ্যমে শ্বসনতন্ত্র পরিষ্কার হওয়ায় কোভিড ১৯ সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়৷ শুধু তাই নয়, জল নেতি কোভিড রোগীকে দ্রুত সুস্থ করতেও সাহায্য করে।
advertisement
আরও পড়ুন : কলকাতায় দুর্গাপুজো দেখতে হলে এই কাজগুলো করতেই হবে, না হলে সব মজাই মাটি
কোভিড ১৯ ছাড়াও, যোগাসন বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন যে জল নেতি অনবরত অভ্যাস করলে অ্যাস্থমা, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস এবং পালমোনারি টিউবারকিউলোসিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলিও সমাধান হতে পারে। এমনকী এটি ইএনটি অর্থাৎ নাক, কান ও গলার সমস্যা যেমন মায়োপিয়া, এলার্জিক রাইনাইটিস এবং টনসিলাইটিস ইত্যাদি নিরাময়েও কার্যকরী।
আরও পড়ুন : কোভিড ১৯ না কি সাধারণ জ্বর! উপসর্গ প্রায় এক হলেও পুজোর মুখে বেশি ঝুঁকি কোথায়, জেনে নিন
তাছাড়া জল নেতি মুখের পেশি শিথিল করার জন্যেও অভ্যাস করতে পারি আমরা। একই সঙ্গে রাগ কমাতে এবং মানসিক চাপেও জল নেতির সাহায্য নেওয়া যায়। আসলে যোগাসনের শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক প্রভাব রয়েছে৷ জল নেতিও ব্যতিক্রম নয়। পাশাপাশি এটি হজম ক্ষমতা এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, সামগ্রিকভাবে শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এটি একটি খুবই সাধারণ ব্যায়াম যাতে কায়িক শ্রম লাগে না৷ এমনকী শিশু ও বয়স্করাও সহজে এই ব্যায়াম করতে পারেন।
তাহলে বাড়িতে কীভাবে সঠিক উপায়ে জল নেতি অভ্যাস করা যায় জেনে নেওয়া যাক-
১. প্রথমে একটি পাত্র বা গ্লাস নুন জল দিয়ে ভর্তি করতে হবে এবং সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।
২. এবার এতে ধীরে ধীরে একটি নাসারন্ধ্রের সামনের দিকটি প্রবেশ করাতে হবে।
৩. সামনের দিকে ঝুঁকে নেতি পাত্রটি এমনভাবে কাত করতে হবে যাতে লবণাক্ত জল নাকের ছিদ্রে চলে যায় এবং আমরা মুখ দিয়ে সেটি বের করতে পারি।
৪. এরপর একই ভাবে জল অন্য নাসারন্ধ্রে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
৫. কিছুক্ষণের মধ্যেই নাক সরিয়ে নিয়ে নাক থেকে জল বের করে দিতে হবে। সব শেষে নাক থেকে শ্লেষ্মা বের করতে ভাল করে নাক ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে।